বোতল মাহফুজ, বোতল মাহফুজ স্লোগানে উত্তাল কাকরাইল মোড় শেরপুর জেলার উন্নয়নে ৫ দফা দাবিতে প্রেসক্লাবের নাগরিক মানববন্ধন নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রির দায়ে ছয় জনের জেল-জরিমানা জুন থেকে গাছ লাগানো শুরু হবে: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না জবি শিক্ষার্থীরা শান্তিগঞ্জে দুই আসামী গ্রেফতার কালিগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন জামায়াত কর্মী মানেই সমাজকর্মী : পীরগাছায় এটিএম আযম খান শার্শায় বাজারজাতকরনের সময়ের আগেই পেঁকে ঝরে যাচ্ছে হিমসাগর আম,বিপাকে চাষী গলাচিপায় নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার সীমান্তে আরও ৪৪ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ অতীতের দিকে তাকিয়ে দেখেন সংস্কারের দলই হচ্ছে বিএনপি’-ডা: জাহিদ হোসেন লাখাইয়ের পরিদর্শিকা সুচিত্রার নেশা শুধু টাকা ,সেবা নিতে আসা রোগীদের নানা ভোগান্তি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলো জামায়াত নেতা, সাড়ে তিন বছর পর আদালতে রায় কাজী এহসানুল হক জিহাদের লেখা কবিতা "নতুন করে" সাম্য হত্যাকান্ডে ঢাবি প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে সভা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আশাশুনিতে বিএনপির দলীয় সদস্য পদ নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন উলিপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

১৯৭১ সালের ( ৩ই ডিসেম্বর ) পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ঠাকুরগাঁও


স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার  প্রতিরোধে  ১৯৭১ সালের নভেম্বরের শেষ থেকেই পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি সৈন্যরা।  তুমুল লড়াই ও তীব্র প্রতিরোধের ফলে পাকিস্তানি বাহিনী  টিকে থাকতে পারেনি  দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁয়ে। 

অবশেষে  এ অঞ্চলের স্বাধীনকামী মানুষেরা নিজ মাতৃভূমির অঞ্চল  ঠাকুরগাঁওকে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর  পাকিস্তানি বাহিনী থেকে মুক্ত করতে  সক্ষম হয় । এ কারণেই আজকের দিনটিকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

প্রতিবারের মতো এবারো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের পর সারা দেশের মতো ঠাকুরগাঁয়েও পাকিস্তানি সৈন্যরা আক্রমণ করে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনে মেতে ওঠে তারা। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জাটিভাঙ্গা ও রাণীশংকৈলে খুনিয়া দীঘির পাড়ে মুক্তিকামীদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। ১৭ এপ্রিল জগন্নাথপুর, গড়েয়া শুখাপনপুকুরী এলাকার মুক্তিকামী মানুষ ভারত অভিমুখে যাত্রাকালে স্থানীয় রাজাকাররা তাদের আটক করে। পরে তাদের পাথরাজ নদীর তীরে গুলি করে হত্যা করা হয়।

একইভাবে রাণীশংকৈল উপজেলার খুনিয়া দীঘির পাড়ে গণহত্যা চালানো হয়। পাকিস্তানি বাহিনী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী  , হরিপুর,  

পীরগঞ্চ  ও রাণীশংকৈল উপজেলার স্বাধীনকামী ও নিরীহ সাধারণ মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। নির্বিচারে হত্যার কারণে পরবর্তীকালে এটি খুনিয়া দীঘি নামে পরিচিতি লাভ করে।

১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর দখলে চলে যায় ঠাকুরগাঁও। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধে সংগঠিত হতে থাকে ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিকামী মানুষরাও।  

স্কোয়াড্রন লিডার এম খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে ৬ নম্বর সেক্টরের অধীন তৎকালীন ঠাকুরগাঁও মহকুমার মুক্তিকামী মানুষেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে  নিজ মা মাতৃকার মাটিকে হানাদারমুক্ত করতে।  

২৯ নভেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের তৎকালীন পঞ্চগড় থানা প্রথম শত্রুমুক্ত হয়। পঞ্চগড় হাতছাড়া হওয়ার পর মনোবল ভেঙে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর।

২ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁয়ে প্রচন্ড গোলাগুলি শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণ -পণ লড়াইয়ে সে রাতেই শত্রুবাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছু হটতে শুরু করে। অবস্থান নেয় ২৫ মাইল নামক স্থানে।  

৩ ডিসেম্বর ভোররাতে শত্রুমুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও শহর। সকাল থেকেই ঠাকুরগাঁও শহরে মানুষ জড়ো হতে থাকে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বের হয় আনন্দ মিছিল। হাজার মানুষের কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয় ঠাকুরগাঁওয়ের পথঘাট।

Tag
আরও খবর




682223452b128-120525103517.webp
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত

২ দিন ১৯ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে




681f8beb54bea-100525112459.webp
নিষিদ্ধ হলো ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ

৪ দিন ১৮ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে