ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না: খামেনি ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৫৮ শান্তিগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা এম এ সাত্তারের মতবিনিময় সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজে গণিতে শিক্ষক সংকট : পাঠদানে ধস, হতাশ শিক্ষার্থীরা চবি এলামনাই পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত লাখাইয়ের মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চিকনপুর ব্রিজে বর্ষার আগমনে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত এনসিসি গঠনে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ সুনামগঞ্জ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ আল হেলাল কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অর্ধযুগ পূর্তি শ্রীপুরে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। জয়পুরহাটে সামাজিক ও রাজনৈতিক সহনশীলতা বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা পীরগাছায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে সার ও চাল খালাস বন্ধ পরিবেশ রক্ষায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বেগমগঞ্জে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ গ্রেপ্তার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক!

নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালত বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে ১ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে


মোহাম্মদ আবু নাছের, নোয়াখালী :

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলিকে (২২)  হত্যার ১৭ বছর পর তার স্বামী মঈন উদ্দিনের (৪২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মঈন উদ্দিন বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের অন্ততপুর গ্রামের কাজী বাড়ির গোলাপ রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।


মামলার বিবরণে জানা যায়, গৃহবধূ বিবি ফাতেমা আক্তার পলি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকুরী করতেন। বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কিছু বখাটে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা থেকে রেহাই পেতে কৌশলে মঈন উদ্দিন ভুক্তভোগী বিবি ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাত্র এক দিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন ফাতেমা। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট হত্যা করে ড্রেনে তার মরদেহ ফেলে রাখা হয়। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় ফাতেমার বাবা ইব্রাহিম মিয়া থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। ২ নভেম্বর ইব্রাহিম মিয়া জানতে পারেন তার মেয়ের মরদেহ ড্রেনে ভেসে উঠেছে। 

ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে মঈন উদ্দিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলার রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, মঈন উদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে তিন ১৬৪ ধারায় নিজের দায় স্বীকার করে জবান বন্দি দিয়েছেন। এরপর জামিন নিয়ে বের হওয়ার পর তিনি পলাতক। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত মঈন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। বাকি আসামীদের খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। 


নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বাবা মামলার বাদী ছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ এ মামলার রায় হলো। কিন্তু আমার বাবা বেঁচে নেই। তিনি মারা গেছেন। রায়ে মাত্র একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা এই রায় সন্তুষ্ট নয়। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। 

আরও খবর