সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ গমন তদন্তে তিন উপদেষ্টার কমিটি উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে প্রতিবাদী মশাল মিছিল শান্তিগঞ্জে সিএনজি চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য নিজাম গ্রেফতার যুক্তরাজ্য যুবদল নেতা শেখ নাসির উদ্দীনকে কালিগঞ্জে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে নোয়াখালীর জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান পিন্টুর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ লাখাইয়ে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে কেমিক্যাল যুক্ত কলা, যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক। স্নেহের তৃষ্ণা রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে বগুড়ায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রস্তুতি সভা উলিপুরে ২০ মামলার মাদক কারবারি আটক ঝিনাইগাতীতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ১০৫টি পরিবার পেল নতুন ঘর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ইবি শিবিরের মিষ্টি বিতরণ সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি-সংগঠন নিষিদ্ধ করা যাবে, অধ্যাদেশ অনুমোদন সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, তাণ্ডব চালাবে দুই বিভাগে নওয়াপাড়া পীরবাড়ি মাদ্রাসার মহাদ্দিস আবু তালহা (রহ:) এর কবর জিয়ারত ও স্মৃতিচারণ বরিশালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ঘটনায় বিক্ষোভ তাপদাহে পুড়ছে মোংলা,প্রাণীকুলে নাভিশ্বাস শ্রীমঙ্গলে নারী মাদক ব্যবসায়ির বসতঘরে মিললো ২ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৫০ টাকা, ইয়াবাসহ গ্রেফতার-৫ আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে: আসিফ নজরুল

অভয়নগরে খেজুরের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।

ঐতিহ্যবাহী যশোরে জেলার বিভিন্ন এলাকার মতো অভয়নগরেও ধুম পড়েছে খেজুর পরিচর্যার।

 বছর ঘুরে শরৎ ঋতুকে বিদায় দিয়ে হেমন্তকে বরণ করেছে প্রকৃতি। এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। খেজুরের গুড়ের জন্য প্রসিদ্ধ ঐতিহ্যবাহী যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে খেজুরের রস সংগ্রের জন্য গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাক ডাকা ভোরে রস সংগ্রহ ও সন্ধায় চলছে গাছ পরিচর্যার কার্যক্রম। আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে নালি গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রের প্রস্তুতি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে।

 তা আবার চাহিদা তুলনায় অত্যন্ত কম। তার পরও যে রস ,গুড় ও পাটারী তৈরি হয় তা দিয়ে শীত মৌসুমে রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার ক্ষেতের আইলে, রাস্তার দুই ধারে ও ঝোপ-ঝাড়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ। কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুর গুড়।

কিন্তুু মানুষের সচেতনতা ও রক্ষনা-বেক্ষনের অভাবে পরিবেশ বান্ধব খেজুর গাছ আর তেমন চোখে পড়ে না। অপরদিকে ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারনে যে পরিমান গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই। এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রাম বাংলার গেজুর রস খেতে।

এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরনকারী গাছিদের প্রাণাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোল,দানা গুড় ও পাটালী তৈরিকরতেন। যার সাদ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ন ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রুপ কথা মনে হলেও বাস্তব। যত বেশি শীত পরড়ে ততবেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। 

উপজেলার পুড়াখালী গ্রামের আব্দুস সালাম গাছি বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে শীতের কষ্ট সহ্যকরে খেজুরের সুস্বাদু -সুমিষ্ট রস এবং গুড় তৈরি করে মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকি,অথচ আমাদের জন্য তেমন কোন সরকারি ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন শুনেছ আমাদের জন্য গাছিদা বরাদ্দ হয়, কিন্তু পাই নাই।  নিজে খরচ করে দা দড়ি কিনে এই পেশায় থাকা খুবই কষ্ট।


আরও খবর