অন্যায় আচরণ, জুলুম, অত্যাচার, মানবতা বিরুদ্ধ কাজ ইসলামে নিষেধ। ক্ষমতার দাপটে, টাকার প্রাচুর্যে, বংশের দাম্ভিকতায় গরিব ও অসহায়কে কষ্ট দেওয়া হারাম। এমনকি কোনো জীবের ওপরও জুলুম করা অপরাধ। আল্লাহ তাআলা অত্যাচারীকে পছন্দ করেন না। মজলুমের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে মানবসমাজের প্রতি তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, হে ইমানদাররা! আর তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারীও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান করুন! এখানকার অধিবাসীরা যে অত্যাচারী! আর আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষাবলম্বনকারী নির্ধারণ করে দিন এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দিন’। [সুরা নিসা: ৭৫]
জালিমের বিরুদ্ধে আল্লাহ তাআলার অবস্থান কঠোর। তিনি মানুষকেও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান চালাতে ও তাদের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জালিম সম্প্রদায়ের মোকাবেলায় তোমাদের সাধ্যানুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করো’। (সুরা আনফাল: ৬০) আল্লাহর কাছে জালিমের জীবনের কোনো মূল্য নেই। তার ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সাবধান! জালিমদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ’। [সুরা হুদ: ৮]
ইবনে আযিব (রা.) বলেন, রাসুল (স.) আমাকে সাতটি বিষয়ের হুকুম দিয়েছেন যেগুলো হচ্ছে- রোগীর সেবা করা, জানাজায় অংশগ্রহণ করা, হাঁচি দিলে তার জবাব দেয়া, কসম পুরা করায় সহযোগিতা করা, মজলুমকে সাহায্য করা, সালামের বিস্তার করা এবং কেউ দাওয়াত দিলে তা কবুল করা। [বুখারি: ৫১৭৫]
ইসলামে জালিমকে থামিয়ে দেওয়ার অর্থ তাকে সাহায্য করা। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, তোমার ভাইকে সাহায্য করো; সে জালিম হোক বা মজলুম। আনাস (রা.) বলেন হে আল্লাহর রাসুল! মজলুমকে সাহায্য করব তা তো বুঝলাম কিন্তু জালিমকে কী করে সাহায্য করব? তিনি বললেন, তুমি তার হাত ধরে তাকে বিরত রাখবে। [বুখারি: ২৪৪৪]
অতএব, মজলুমকে সাহায্য করা জরুরি ইবাদত। নিজের ভাই অত্যাচারের শিকার হলে যেমন চুপটি মেরে বসে থাকা যায় না, তদ্রূপ যেকোনো মুসলিমের বিপদেও সেভাবেই দাঁড়াতে নির্দেশ দেয় ইসলাম। কারণ এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে নিজে তার ওপর জুলুম করবে না এবং তাকে জালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। (অন্য বর্ণনায় রয়েছে—তার সহযোগিতা পরিত্যাগ করবে না। [মুসলিম: ২৫৬৪; মুসনাদে আহমদ: ২০২৭৮]
হাদিসে আরও এসেছে, মানুষ যদি কোনো অত্যাচারীকে অত্যাচারে লিপ্ত দেখেও তার দু-হাত চেপে ধরে তাকে প্রতিহত না করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা অতি শীঘ্রই তাদের সকলকে তার ব্যাপক শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত করবেন। [সুনানে তিরমিজি: ২১৬৮; আবু দাউদ: ৪৩৩৮]
১৫ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৫ দিন ৩৩ মিনিট আগে
১৯ দিন ১০ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
২৩ দিন ১৮ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
২৮ দিন ১৬ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৩৪ দিন ১০ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৩৫ দিন ৩ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৩৫ দিন ৫ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে