ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না: খামেনি ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৫৮ শান্তিগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা এম এ সাত্তারের মতবিনিময় সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজে গণিতে শিক্ষক সংকট : পাঠদানে ধস, হতাশ শিক্ষার্থীরা চবি এলামনাই পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত লাখাইয়ের মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চিকনপুর ব্রিজে বর্ষার আগমনে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত এনসিসি গঠনে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ সুনামগঞ্জ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ আল হেলাল কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অর্ধযুগ পূর্তি শ্রীপুরে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। জয়পুরহাটে সামাজিক ও রাজনৈতিক সহনশীলতা বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে সার ও চাল খালাস বন্ধ পরিবেশ রক্ষায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বেগমগঞ্জে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ গ্রেপ্তার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক! জাগো মুসলমান - আর. এম. কারিমুল্লাহ

ছাত্র-শিক্ষকের এমন দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না

মো. ফরমান উল্লাহ - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 02-09-2024 03:38:34 pm

মোঃফরমান উল্লাহ, বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক দেশচিত্র


ছাত্র-শিক্ষকের এমন দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না। আগে ছাত্র শিক্ষকের পা ছুয়ে সালাম করে সম্মান জানাতো। বর্তমানে এটা উল্টো হয়ে গেছে। বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হয় ছাত্র হয়ে গেছে শিক্ষক আর শিক্ষক হয়ে গেছে ছাত্র।


এর জন্য দায়ী কিছু দূর্নীতিবাজ শিক্ষক।যারা ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগ ও পদোন্নতি পেয়েছেন।


আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুজ নিতেন কোন এলাকা থেকে একজন ছাত্র ভালো রেজাল্ট করে বিএ পাস করেছেন। খুজ নিয়ে আমাদের ঐ ছাত্রের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন। আমরা তাঁর সাথে কথা বলে স্কুলে নিয়ে আসতাম। তিনি আমাদের মনোযোগ দিয়ে পাঠদান করতেন। কিছু দিন ক্লাস করার পর আমাদের মতামত নিয়ে উক্ত শিক্ষকে স্কুলে নিয়মিত শিক্ষক হিাসবে নিয়োগ দিতেন। তাঁদের অনেকে আমাদের স্কুলে আছেন।তাঁদের বিরুদ্ধে আজ পযর্ন্ত দূর্নীতি বা ফাঁকি দেওয়ার কোন অভিযোগ উঠে নি।


কয়েক বছর আগে আমাদের বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পূনমিলনী অনুষ্ঠানে আমাদের কয়েক জন শিক্ষকের পা ছুয়ে সালাম করার সুযোগ পেয়েছিলাম। দীর্ঘ কয়েক বছর পর শিক্ষকদের পা ছুয়ে সালাম করতে পেরে নিজেদেরকে অনেক সুভাগ্যবান মনে হয়েছিল। বর্তমানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে, ক্ষমতার জোরে,ঘুষের বিনিময়ে যারা চাকরী বা পদোন্নতি পেয়েছে তাদের অপকর্মের জন্য শিক্ষকদের লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। এধরনের শিক্ষকেরা বিদ্যালয়কে রাজনৈতিক কার্যালয়ে পরিনত করেছিল। কোন কোন বিদ্যালয়ে একটা বিশেষ রাজনৈতিক দলের স্লোগান ও শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রদের দিতে বাধ্য করা হয়েছিলো। দূর্নীতিবাজ শিক্ষকদের দুর্নীতি আর অপকর্মের  জন্য বর্তামানে ছাত্র কর্তৃক শিক্ষকে সালাম করা একেবারেই নেই। আর নেই বলেই দূর্নীতিবাজ শিক্ষকদের কারণে বেয়াদবীর চরম শিখরে আজ ছাত্র সমাজ। 


 দলবাজ,দূর্নীতিবাজ,চরিত্রহীন, ঘুষখোর শিক্ষকদের কারণে পবিত্র বিদ্যালয় আজ অপবিত্র হয়ে উঠেছে। দূর্নীতিবাজ শিক্ষকদের অপসারন করে   ছাত্র শিক্ষকের পবিত্র সম্পর্ক পুনস্থাপন করা খুবই জরুরী। তা না হলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে।ধ্বংস হয়ে যাবে পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সম্মান। বন্ধ করতে হবে রাজনৈতিক দলের নেতা দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে রাজনৈতিক দলের কোন ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। রাজনৈতিক দলের নেতার হস্তক্ষেপ বন্ধ হলেই বন্ধ হবে বিদ্যালয়ের দূর্নীতি। প্রতিষ্ঠিত হবে আদর্শ শিক্ষা ব্যবস্থা, আর্দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আদর্শ শিক্ষার্থী।


ছবি সংগৃহিত

আরও খবর