২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে দু'জনের মৃত্যু ইশরাকের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল অফেন্সের’ অভিযোগ আসিফ মাহমুদের শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরি, চালকের আসনে বাংলাদেশ তেহরানে দূতাবাসের ৪০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ চলছে: পররাষ্ট্রসচিব সুন্দরবন রক্ষায় কনক্রিট অ্যাকশন প্ল্যান করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৪৪ জন অবশেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলো জিল্লুর রহমানকে দিনাজপুরে পুকুরে ডুবে দুই কন্যা শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স১০০ শয্যায় দাবীতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন রাজশাহী কলেজ পাঠকবন্ধুর ঈদ পুনর্মিলনী ও আম উৎসব অনুষ্ঠিত লালপুরে ভেজাল আইসক্রিম তৈরির দায়ে ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দুই মিষ্টি ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা শিক্ষার্থীদের ঈদুল আজহা আনন্দের স্মৃতিচারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির জরুরি নির্দেশনা আদমদীঘিতে যাত্রীবাহী বাস থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেপ্তার আদমদীঘিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঈদ পূর্ণমিলনী ও জন সমাবেশ শ্যামনগরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরীর অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা গলাচিপায়-অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ নগদ অর্থ বিতরণ। সুন্দরবনের ৬০০ হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার ব্রহ্মরাজপুর বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুর রশীদের বিরুদ্ধে সরকারী জমিতে অবৈধভাবে আরসিসি পিলার নির্মাণ করে ছাদ ঢালাইয়ের অভিযোগ

মহানবী (সা.) ও চার খলিফার আংটিতে কী লেখা ছিল

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 09-08-2024 04:54:55 am

আগের যুগের মতো বর্তমানেও আংটি সভ্যতার প্রতীক হিসেবে গণ্য। সুলাইমান (আ.) ও দানিয়াল (আ.)-এর আংটির কথা ইতিহাসে পাওয়া যায়।


প্রাচীন যুগ থেকেই রাজা-বাদশাহ ও সম্মানিত ব্যক্তিরা আংটি পরতেন। আংটিতে বিশেষ চিহ্ন সংবলিত মোহর থাকত, যা দ্বারা দলিল-দস্তাবেজে সিল মারা হতো।


আংটির মোহর অঙ্কন পাথর ইত্যাদির খোদাইয়ে করা হতো। তাতে নাম, গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন ও বাণী ইত্যাদি লেখা থাকত। রাসুলুল্লাহ (সা.) ও চার খলিফার আংটিতে কী লেখা ছিল তার বর্ণনা নিম্নে উল্লেখ করা হলো—


রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আংটির বিবরণ


নবীজি (সা.) যখন রাজা-বাদশাহদের ইসলামের দাওয়াতি চিঠি পাঠানোর ইচ্ছা করলেন তখন তিনি রুপার একটি আংটি বানালেন, যার মধ্যে ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ বাক্যটি অঙ্কিত ছিল। (বুখারি, হাদিস : ৬৫)


অন্য বর্ণনায় আরো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে নবীজি (সা.)-এর আংটিতে তিন লাইনে বাক্যটি অঙ্কিত ছিল।সর্বনিম্নে ‘মুহাম্মাদ’, মাঝে ‘রাসুল’ এবং ওপরে ‘আল্লাহ’ শব্দটি। (বুখারি, হাদিস : ৩১০৬)


যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আংটিতে আল্লাহর নাম লিখিত ছিল, তাই ইস্তিঞ্জায় যাওয়ার সময় ওই নামের সম্মানার্থে তিনি আংটিটি খুলে রাখতেন। (তিরমিজি : হাদিস ১৭৪৬)


আংটিটি মৃত্যু পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাতে ছিল। তাঁর ইন্তেকালের পরে আবু বকর (রা.)-এর হাতে, এরপর ওমর (রা.)-এর হাতে, এরপর উসমান (রা.)-এর হাতে ছিল।

দুর্ভাগ্যক্রমে তা উসমান (রা.)-এর হাত থেকে ‘আরিস’ নামক কূপে পড়ে গেলে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও আর পাওয়া যায়নি। (বুখারি, হাদিস : ৫৮৭৩)


ঐতিহাসিকদের অনেকে মনে করেন, আংটিটি হারিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ওসমানের (রা.) খেলাফতে অস্থিরতা দেখা দেয়। বিভিন্ন অঞ্চলে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও বিদ্রোহ দানা বাঁধে। দীর্ঘসময় ধরে অশান্তি ও অস্থিরতা চলতে থাকে এবং একপর্যায়ে তিনি শহীদ হন।


রাসুলের (সা.) আংটি যে কূপে পড়ে গিয়েছিল, সেটি মদিনার দক্ষিণ-পশ্চিমে কুবা মসজিদ থেকে ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত। ১২ মিটার গভীর কূপটির নাম আরিস হয়েছিল এক ইহুদি ব্যক্তির নাম অনুসারে। রাসুলের আংটি পড়ে যাওয়ার কারণে এ কূপের পানিকে কেউ কেউ বিশেষ বরকতময় মনে করেন।


চার খলিফার আংটিতে যা লেখা ছিল


খলিফা আবু বকর (রা.)-এর আংটিতে লেখা ছিল :


‘নি’মাল ক্বা-দিরু আল্লাহ’, অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা সর্বোত্তম ক্ষমতাবান। (তারিখে ইবনে কাসির ৭/২৩)


আমিরুল মুমিনিন ওমর (রা.)-এর আংটির লিপি :


‘কাফা বিল মাউতি ওয়াইযান ইয়া উমার’, অর্থাৎ হে ওমর! নসিহতের জন্য মৃত্যুই যথেষ্ট। (ইবনে কাসির ৭/১৫১)


আমিরুল মুমিনিন উসমান (রা.)-এর আংটির লিপি :


‘আ-মানতু বিল্লাহি মুখলিসান’, অর্থাৎ আমি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ওপর ঈমান আনলাম। (সিরাতে হালবিয়্যা ১/৩৯০)


অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, তাঁর আংটিতে লেখা ছিল :


‘আ-মানতু বিল্লাহিল্লাযি খালাক্বা ফাসাউয়া’ অর্থাৎ আমি আল্লাহর ওপর ঈমান আনলাম, যিনি সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর সুগঠিত করেছেন।


অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে : ‘আ-মানতু বিল্লাহিল আযিম’, অর্থাৎ আমি আল্লাহর ওপর ঈমান আনলাম, যিনি মহান। (ইবনে কাসির ৭/২৩৯)


আমিরুল মুমিনিন আলী (রা.)-এর আংটির লিপি :


‘আল-মুল্কু লিল্লাহ’, অর্থাৎ রাজত্ব একমাত্র আল্লাহর। (সিরাতে হালবিয়্যা ১/৩৯০)