নাগেশ্বরীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীন আইসটি কম্পিউটার এ্যান্ড নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন। রংপুর অঞ্চল অচল করে দেয়ার হুমকি দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা লাখাই ডি সি রোডে শুকানো হচ্ছে গরুর খাদ্য খড়,যানচলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ইলিশ ধরা শুরু,জেলে পল্লীতে উৎসবের আমেজ ঋণ আর দাদনের আতংক শ্যামনগরে তিন বখাটের ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদণ্ড শ্রীপুরে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মাগুরায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ইভটিজিং করায় ৩ বখাটে কারাগারে আশাশুনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কালিপদ রায় আর নেই গাড়িতে হামলা, আহত হাসনাত ঝিনাইগাতীতে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় নকলের দায়ে ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার পদ্মায় জেলের জালে আটক দুই কাতল ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে হেরোইনসহ ইউপি সদস্য গ্রেফতার । রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার কোনো চুক্তি করেনি: ড. খলিলুর রহমান এবার কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ ভিসির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরই মিয়ানমারে ফিরবে রোহিঙ্গারা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডোমারে স্কাউট ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 07-05-2024 03:26:11 pm

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শতবাধা অতিক্রম করে ২০০৭ সালের ৭ মে আমাকে দেশে ফিরতে হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, এমনকি আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়। দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।


আজ মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এ সব কথা বলেন তিনি।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত এই আলোচনার সূত্রপাত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে উত্থাপন এই আলোচনায় আরো অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের দিনটা (৭ মে) আমার জীবনের অনন্য দিন, কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শত বাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিল আপনি আসবেন না, আপনি বাইরে থাকেন, যা যা লাগে করব।



আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিল। এ কথা বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দেবে।’


তিনি আরো বলেন, ‘সকল এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিল, আমাকে বোডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি।


লন্ডনে যেদিন আমি বিমানে উঠতে যাব উঠতে দেওয়া হয়নি। সেদিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরব। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওনা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছে আপনি আসবেন না, আসলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী ভাইদের প্রতি।




তখন বলা হয়েছিল যে কেউ যেন এয়ারপোর্ট না যায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিস্কার করা হবে। আর আমাদের নেতাকর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিলাম সবাই থাকবে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, তবে ঘাসের সঙ্গে থাকবা, আমি বলেছিলাম আমার প্লেনটা না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না।’



আমাকে বলা হয়েছিল, আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমার দলের কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা শুধু নয় আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে নেতাকর্মীরা। সেই সময় কালে ভদ্রে দু-এক জন আমার কাছে আসতে পারত। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম সে সময় দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে সংসদ ভবনের এক পরিত্যক্ত নোংরা ভবনে। সেখানেই আমাকে বন্দী করে রাখা হয়।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু এই দিন নয়, ৮৩ সালেও এরশাদ সাহেবও আমাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোডে লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএ এফআই অফিসে নিয়ে যায় ইনট্রোগ্রেট করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরো কয়েকবার গ্রেপ্তার করে। আমি মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে এক সঙ্গে নিয়ে যায় কখনো কন্ট্রোলরুমে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয় ,বার বার গ্রেপ্তার সরাসরি গুলি বোমা গ্রেনেড সব কিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি। এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি, বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে, দলের নেতাকর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে।’



তিনি আরো বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে আমি এসেছিলাম ৬ বছর পরে। এরপর ২০০৭ সালে ৭ মে আমি আবারও সব উপেক্ষা করে ফিরে আসি। বাবা-মা আমাদেরকে শিখিয়েছিলেন সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলা। জনগণের জন্য কাজ করা। তাই করছি। দেশের মানুষই আমার একমাত্র শক্তি এবং প্রেরণা, সেই শক্তি নিয়েই আমি এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি যখন বন্দি ছিলাম আমার ছোট বোন রেহানা সে রাজনীতি করে না, সামনে নেই কিন্তু সে অসাধ্য সাধন করতে পারে। প্রত্যেকটা জেলা, উপজেলা সব নেতাকর্মী সকলের সাথে যোগাযোগ করেছে। ওই লন্ডনে বসেই সে কাজ করেছে

আরও খবর





680efe283c081-280425100352.webp
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

৬ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে


680dfb019e89e-270425033809.webp
ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত

৭ দিন ১০ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে


680bb3132cb52-250425100643.webp
রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

৯ দিন ৩ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে