লাখাইয়ে তিল আবাদ বাড়ছে।

লাখাইয়ে তিল আবাদ বাড়ছে। 

লাখাইয়ে তেল জাতীয় ফসল তিল আবাদে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। 

শস্য ভান্ডার খ্যাত লাখাইয়ে ধান চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ থাকলেও তেল জাতীয়  ফসলের আবাদে আগ্রহ তেমনটা নেই। 

এ অবস্থা থেকে উত্তোরনে ধান চাষাবাদ এর পাশাপাশি তেলজাতিয় ফসল সহ অন্যান্য ফসলের আবাদ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নানামুখী প্রচারণা ও প্রশিক্ষণ এবং উদ্বুদ্ধকরণ সভা করে আসছেন। 

এতে শাকসবজি, ফলমূল ও স্বল্প মেয়াদি বিভিন্ন ফসলের আবাদ বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তিল আবাদও বাড়ছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় চলতিবৎসর লাখাইয়ে ৫ হেক্টর জমিতে তিল এর আবাদ হয়েছে এবং আবহাওয়া তিল চাষের অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। 

এদিকে তিল আবাদ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতিটি ইউনিয়ন এ তিল প্রদর্শনী দিয়ে সহযোগিতা করে আসছেন। 

তিল একটি মধ্যবর্তী ও স্বল্প মেয়াদি ফসল হওয়ায় এবং এর উৎপাদন খরচ অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় বেশি মুনাফা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর এতে করে দিন দিন লাখাইয়ে এর আবাদ বাড়ছে। 

সরজমিন উপজেলার করাব ও মুড়িয়াউক ইউনিয়ন এর বিভিন্ন মাঠ পরিদর্শন কালে দেখা যায় তিল এর ফলন আশানুরূপ হয়েছে। 

আলাপকালে উপজেলার সিংহগ্রাম এর কৃষক জিলু মিয়া চৌধুরী জানান আমি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমার ৪ শতাংশ চারা রকম জমিতে  তিল আবাদ করেছি ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। 

তিনি আরোও জানান তিল আবাদে খরচ তেমন না।খুবই কম খরচে ফলন ভালো হওয়ায় মুনাফা হয় বেশি। 

এ বিষয়ে মুড়িয়াউক ইউনিয়ন এর দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুক তালুকদার জানান  আমন বা রোপা আমন পরবর্তী সময়ে যে জমিতে বোরা আবাদ হয়না সে সব জমি সাময়িক পতিত থাকে।এ জমিতে সহজেই তিল আবাদ করা যায় এবং তিল আবাদ এর পর আউশধান আবাদ করা যায়। তাই সাময়িক অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছি। আর তিল আবাদ করার মাধ্যমে শস্য নিবিরতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে। ৮০-৯০ দিনের ফসল হওয়ার কৃষকেরা এতে লাভবান হওয়ার সম্ভাবণা। 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন লাখাইয়ে ধানের পাশাপাশি সারাবছরই নানাধরণের ফসল উৎপাদন এর সম্ভাবনাময় অঞ্চল। তাই ক্রপ প্যাটার্ন অনুসরণ পূর্বক পরিকল্পিত চাষাবাদ বৃদ্ধি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শস্য বহুমুখী করনে আগ্রহী করে তুলতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা করে আসছি। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ও ফ্রীপ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রদর্শনী দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।