নোয়াখালীর সেনবাগে মাদকের গডফাদাররা পুলিশ কে দমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে
বিগত ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ খ্রীঃ তারিখে নোয়াখালীর সেনবাগ থানার এসআই সঞ্জয় সিকদার নোমান নামীয় ব্যক্তিকে পেটানোর অভিযোগে নোয়াখালী পুলিশ লাইনে ক্লোজড রয়েছেন। ভিকটিম নোমান (২৩) পিতা- মৃতঃ মোঃ আবু তাহের, মাতা-তৈয়বের নেছা, গ্রাম-কাদরা (আবু তালেবের নতুন বাড়ী) ওয়ার্ড নং ৪, ৪নং কাদরা ইউনিয়ন,থানা- সেনবাগ, জেলা- নোয়াখালী। তার ভাই শাহাদাত হোসেন (২৫) ও অপর জন আবদুস সাত্তার (৩৩) উভয়কে এসআই সঞ্জয় সিকদার ঐ দিন দুপুরে মাদক বহন অবস্থায় ২০০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মামলার এজাহারে বর্ণিত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে ভিকটিম নোমান (২৩) থানায় আসে। থানায় এসআই সঞ্জয় সিকদারের সাথে উচ্চস্বরে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে, বলে তার ভাইকে কেন অযথা গ্রেফতার করেছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে সে থানা থেকে বেরিয়ে আসে এবং থানার মাঠে একটি সিএনজি পায়।
এ প্রতিবেদকে সিএনজি ড্রাইভার জুয়েল জানান, একটি লোক এসে আমাকে বলে তার মাথা ঘুরপাক খাচ্ছে, তাকে সেনবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সিএনজি ড্রাইভার জুয়েল-নোমানকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেয় কারণ তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। নোমান সিএনজি ড্রাইভারকে জানায় তার শ্বাসকষ্ট পূর্ব থেকে রয়েছে। সিএনজি ড্রাইভার নোমানের কোন অভিভাবক না পেয়ে থানায় ফোন করে, তাৎক্ষনিক ফোন পেয়ে এসআই সঞ্জয় সিকদার হাসপাতালে পৌঁছে। সেনবাগ মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীর বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযানে দীর্ঘদিন ধরে এসআই সঞ্জয় সিকদার দূর্দান্ত সাহসিকতার মধ্যদিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণের অভিযানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ খ্রীঃ তারিখে মোঃ শাহাদাত হোসেন (২৫) ও মোঃ আবদুস সাত্তার (৩৩) এর বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ মোতাবেক মামলা রজু করা হয়েছে। মামলা নং-১৩/২৪।
বিগত ৭/৮ মাস ধরে মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানে এসআই সঞ্জয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কারণে সেনবাগে মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মন্দ হওয়ায়, মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে এবং মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলে নোমান কে দিয়ে এসআই সঞ্জয় কে হেনেস্তা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় ইতোপূর্বে এসআই সঞ্জয় সিকদার পুলিশ সুপার-এর পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।
প্রকাশ থাকে যে ভিকটিম নোমানের এলাকায় এ প্রতিবেদক সরেজমিনে তদন্ত কালে এলাকাবাসী জানান, তার পরিবারের সদস্যগণ অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক, মাদক বিক্রয় ও সেবনে জড়িত ছিল এবং আছে। শাহাদাত, নোমান ও তার সহযোগীরা একচ্ছত্র মাদক বিক্রয়ের রুট হিসেবে কাদরা মজুমদার বাড়ীকে বেছে নিয়েছে। এলাকাবাসী এ মাদকের হোতা ও মাদকের সাথে জড়িত গড- ফাদারদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছে।