সমুদ্রসীমার পরিপূর্ণ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার শ্যামনগরে শিশু অধিকার বিষয়ে এনসিটিএফ সংলাপ দরগাপাশা'র ৬নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জামায়াত নেতা হাজী মো মশিউর রহমান কে সংবর্ধনা মাদক এবং কিশোর গ্যাং বড় সামাজিক সমস্যা ওসি আমিনুল ইসলাম বছরের পর বছর মানুষ এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়েছে-শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি অনেক গণমাধ্যম জুলাই গণ অভুত্থানকে ধারণ করে না- এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন জয়পুরহাটে সেনাবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অ্যালকোহল ও কাঁচামাল উদ্ধার জবির একটি হলের নাম 'বিশ্বজিৎ দাস হল' রাখার আহ্বান গণ অধিকার পরিষদ নেতার ইরান- ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লালপুরে বিক্ষোভ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শরণার্থীদের বোঝা সবচেয়ে বেশি বহন করতে হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর' আদমদীঘিতে নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত চার প্রকল্প ও কর্মসূচিতে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি মেডিকেল শিক্ষার্থী প্রার্থনা অনন্য দৃষ্টান্ত সোনাইমুড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধা নারীকে জবাই করে হত্যা রাতভর টানা বৃষ্টিতে সর্বোচ্চ রেকর্ড, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ কুতুবদিয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন কচুয়ায় মাঠের পানি থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

ফজলুল হত্যা মামলার আসামি ২৬ বছর পর গ্রেফতার

ফজলুল হত্যা মামলার আসামি ২৬ বছর পর গ্রেফতার







ফজলুল হত্যা মামলার আসামি ২৬ বছর পর গ্রেফতার


নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার অন্তরগত বাণিজ্যিক শহর  চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী ও হক লাইব্রেরীর মালিক ফজুলল হক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জামাল উদ্দিন (৫৫) কে ২৬ বছর পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।


মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে, সোমবার রাত দেড় টার সময় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আকনগলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।



গ্রেফতারকৃত জামাল উদ্দিন নোয়াখালী জেলার  বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের মৃত ছাদু মিয়ার ছেলে।


র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত জামাল উদ্দিন ও আবুল হাসেমসহ কয়েকজন মিলে চৌমুহনী রেলস্টেশন রোডের হক লাইব্রেরীর মালিক মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হকের বড় ছেলে ফজলুল হককে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধান পায়নি। একই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ফজলুল হকের বাবা সামছুল হক বাদী হয়ে সহোদর আবুল হাসেম ও জামাল উদ্দিন কে আসামী করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।



মামলার তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ হত্যাকারীররা নিহতদের মরদেহ গুম করেছে বলে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।



২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সহোদর আবুল হাসেম ও জামাল উদ্দিনকে বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন।



নিহতের ছোট ভাই জিয়াউল হক জানান, রায় ঘোষনার সময় আবুল হাসেম উপস্থিত থাকলেও জামাল উদ্দিন ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। তাকে গ্রেফতারের জন্য আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল।


র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, উক্ত চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আসামি জামাল উদ্দিন নাম পরিচয় গোপন করে আত্নগোপনে চলে যায়। র‌্যাবের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং ছায়া তদন্তের মাধ্যমে আসাসির পরিচয় শনাক্ত করে এবং গোয়েন্দা দলের তথ্য সংগ্রহপূর্বক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জামাল উদ্দিনকে ২৬ বছর পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।



আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও খবর