চিলমারীতে পানিতে পড়ে যুবকের মৃত্যু সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর চরে বনায়ন তৈরিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঝিনাইদহে অবৈধ স্থাপনা ও সড়ক থেকে দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাচন নিয়ে সরকারের অফিসিয়াল নির্দেশনা পায়নি সেনাবাহিনী নাসিরনগরে মহানবী সা. এর শানে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ সিএনআরএসের বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন কাদাকাটিতে হাত কোদালে খাল খনন চলছে, কাজের খবর জানেন না প্রকল্পের সভাপতি আশাশুনিতে উত্তরণের এক্সেস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা ক্ষেতলালে বিডব্লিউবি বিতরণে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় সরকারি বন বিভাগের গাছ কেটে ভূমি দখলের অভিযোগ ইসলামপুরের সাপধরী ইউনিয়নে বিনামূল্যে স্যানিটারি ল্যাট্রিন সামগ্রী বিতরণ সাতক্ষীরায় বিশ্ব শিশুশ্রম উপলক্ষে আলোচনা সভা সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে ফেন্সিডিলসহ প্রায় চোদ্দ লক্ষ টাকার মালামাল আটক চিলমারীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের দাফন সম্পন্ন গলাচিপায়- স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রয়োগ মেলা ও সেমিনার। লালপুরে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মশালা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক  প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। সিরাজগঞ্জের কোরবানির গোসত চুরির বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। লালপুরের ঈশ্বরদী বাইপাস রেলস্টেশনে ছাউনির অভাবে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ লালপুরে জাতীয় ফল মেলার শুভ উদ্বোধন

চা পাতা উত্তোলনে রেকর্ড: লোডশেডিংয়ে পাতা প্রক্রিয়াজাতে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

চা বাগানগুলোতে টানা ১৯ দিন শ্রমিকদের কর্মবিরতিকালের বিরাট ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখন তৎপর চা শ্রমিকরা। কর্মবিরতির কারনে কাঁচা পাতা উত্তোলন বন্ধ থাকায় চা গাছ নির্ধারিত সাইজের চেয়ে এক থেকে দেড় ফিট বড় হয়ে যায়। চা পাতার কুঁড়ি বড় হয়ে শক্ত হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ চা বাগানের শ্রমিকরা কাচি বা দা দিয়ে পাতা উত্তোলন করছেন। গত কয়েকদিনে শ্রমিকরা লাখ লাখ কেজি চা পাতা তুলে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। রেকর্ড পরিমাণ এ পাতা রাখার স্থান সংকুলান হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ। বিরতিহীনভাবে ফ্যাক্টরি চললেও চা পাতা উৎপাদনে স্মরণকালের প্রচুর কাঁচামাল কাঁচাপাতা সংগ্রহ হচ্ছে।


বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে এমনটাই দেখা যায় বিভিন্ন চা-বাগানে। কাঁচাপাতা রাখার ট্রাপ হাউজ ভরপুর হয়ে আছে। তাই কোনো কোনো বাগান কর্তৃপক্ষ ভিন্ন স্থানে নিয়ে পাতা রাখছে। চা-শ্রমিকরা বলছেন, জীবনে এত পাতা উত্তোলন করিনি। সর্বোচ্চ ৫০ কেজি উত্তোলন ছিল রেকর্ড। কিন্তু গত ২ দিনে জনপ্রতি আমরা ১০৬-১১০ কেজি পর্যন্ত পাতা উত্তোলন করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছি। নারী ও পুরুষ শ্রমিক পাতা তোলার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। পাতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সকাল বিকেল চলছে বাগানে বাগানে পাতা চয়ন। বাগান ব্যবস্থাপকরা বলছেন, আমরা এত বেশি চা পাতা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। ২৪ ঘণ্টা ফ্যাক্টরি চালাচ্ছি। পাতা রাখার স্থান দিতে পারছি না। চা পাতা উৎপাদনের গুণগতমান রক্ষা করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট চা বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁচাপাতা রাখার ট্রাপ হাউজ ভরপুর। তাই পাতা রাখা হয়েছে ম্যানেজার বাংলো ও কোম্পানি বাংলোর বারান্দায়। এছাড়াও পাতা রাখা হয়েছে সহকারী ম্যানেজারদের বাসার ফ্লোরে এবং মন্দির ঘরের পাশের বৈঠকখানার মেঝেতে। রাজঘাট চা বাগানের চা শ্রমিক রবিন্ড তান্দি (৩৬) বলেন, আমার জীবনে এত চা-পাতা ওঠাতে পারিনি। একদিনে ৯০ কেজি পাতা তুলেছি।


শ্রীমঙ্গল ফুলছড়া চা বাগানের চা শ্রমিক সজিব কানু  (৩৮) বলেন, এক বেলাতেই ১১৫ কেজি চা-পাতা তুলতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। যা নিজের কাছে অবাক লেগেছে। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ১৯ দিন বাগান বন্ধ থাকায় চা গাছের পাতার কুঁড়ি অনেক লম্বা হয়েছে। তাই শ্রমিকরা বেশি বেশি করে পাতা তুলছেন। বাগানে পাতা রাখার মতো স্থান  দেওয়া যাচ্ছে না। পাতা প্রক্রিয়াজাত ও লোডশেডিংয়ের কারণে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


কমলগঞ্জ উপজেলার মহসিন টি হোল্ডিং লিমিটেডের শ্রী গোবিন্দপুর বা বাগানের কারখানা ব্যবস্থাপক ফয়সল শামীম পাভেল বলেন, শ্রমিকদের কর্মবিরতির পর বাগান খুলার পর  থেকে প্রতিদিন রেকর্ড পরিমাণ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন হচ্ছে। আমার বাগানে গতকাল  একজন শ্রমিক রেকর্ড পরিমাণ ২৫০ কেজির উপরে চা উত্তোলন করেছেন। চা শ্রমিকরা প্রতিজন দৈনিক ২৪ কেজি কাঁচা পাতা উত্তোলন করলে বর্তমানে হাজিরা ১৭০ টাকা। পরবর্তী প্রতি কেজি ৫ টাকা হিসেবে মজুরি পাবেন। যে শ্রমিক ২৫০ কেজি কাঁচা পাতা উত্তোলন করেছেন তার দৈনিক মজুরি ছাড়া অতিরিক্ত মজুরি এসেছে ১১৩০ টাকা। দৈনিক মজুরি ও অতিরিক্ত মজুরি হিসেবে তার একদিনের মোট আয় হয়েছে ১৩০০ টাকা। তিনি বলেন, এখন চায়ের পাতা শক্ত হয়ে যাওয়ায় হাত দিয়ে পাতা প্লাকিং করা হচ্ছে না। প্লাকিং করা হচ্ছে কাচি বা দা দিয়ে। ফলে শ্রমিকরা রেকর্ড পরিমাণ কাঁচা পাতা উত্তোলন করতে পারছেন। অনেক শ্রমিক অতিরিক্ত হাজিরার লোভে গাছের ডাল পর্যন্ত কেটে নিয়ে আসছেন। আমার বাগানে শত-শত বস্তা কাঁচা চা পাতা কারখানার বাইরে রাখা হয়েছে।

Tag
আরও খবর