স্থানীয় সূত্রে ও প্রত্যখ্যদর্শিরা জানান, সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপি নেতা কর্মীদের সমাবেশে আসতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বাধা দেয় এতে বিএনপি নেতা কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে বিকল্প পথে সমাবেশে আসে। সমাবেশের অদুরে গৌরীপুর মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে।
সমাবেশ শেষে মিছিল বের হলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ওই এলাকার দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
লালপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, সাবেক মন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের ছেলে ডাঃ ইয়াসির আরশাদ রাজন জানান, দেশে চলমান দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি ও রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে গৌরিপুরে উপজেলা বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল ছিল। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশে আসা বিএনপি নেতা কর্মীদের বাধার সৃষ্টি করে। তা সর্তেও শত শত বিএনপি নেতা কর্মীরা বিকল্প পথে সমাবেশে যোগ দেয়। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হলে বিনা উস্কানিতে পুলিশ নির্বিচারে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পুলিশের আক্রমনে আমাদের কমপক্ষে ১২ জন নেতা কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়।
এদিকে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ারুজ্জামান জানান, বিএনপি মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে এবং বিক্ষুব্ধরা পুলিশের একটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিচার্জ করে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
বিএনপির সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ পাপ্পু, ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে এডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, গোপালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম মোলাম, ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মিষ্টু সহ দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
২২ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
২ দিন ২১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৪ দিন ১৯ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৮ দিন ১৮ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
১১ দিন ২৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
২৫ দিন ১৯ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
২৬ দিন ৫ মিনিট আগে
৩২ দিন ২ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে