জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়: ড. আলী রীয়াজ সুধীজনদের সাথে মত মতবিনিময় সভা করলেন সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আজ বিশ্ব মুক্ত গনমাধ্যম দিবস পুরস্কার মিলবে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদ জমা দিলে টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল জয়পুরহাটে নাগরিক পার্টির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী পরিদর্শন সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ৬ বস্তা ফাঁদ, বরফসহ ট্রলার জব্দ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাটি চাপায় পড়ে বাড়ীয়ালার মৃত্যু বরিশালে সাংবাদিক নির্যাতন-চাকরিচ্যুত প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শ্যামনগরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত পাঁচ দফা দাবিতে ববির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম নালিতাবাড়ীতে দুর্নীতি বিরোধী বিষয়ক ফোকাল পার্সনদের দুর্নীতি ও এর প্রতিরোধ এবং তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা) তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর বাঘবেড় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা) তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গ্রেফতার। প্রায় দেড়শ বছর ধরে চলে আসছে নাপাইচন্ডী মেলায় গাজী সাহেবের দরগাহে মান্নতি প্রথা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৫৩ পুরিয়া হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

মা-বাবার বিশ্বাস

একটি ছেলে ছিল, মা-বাবা ভালোবেসে তার নাম রেখেছিল অনু। প্রতি বছর গরমের ছুটিতে তার মা-বাবা তাকে তার দাদুর বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যেতেন। দাদু থাকতেন দেশের বাড়ি; অনেকটা দূর, তাই ট্রেনে করে যেতে হত।
এক বছর গরমের ছুটিতে বেড়ানোর তোড়জোড় চলছে; অনু বলল, বাবা, আমি তো এখন যথেষ্ট বড় হয়েছি, আর তোমাদের যাবার দরকার নেই। আমি একাই যেতে পারব। বেশ খানিকক্ষণ আলোচনার পর ঠিক হল, এবার অনু একাই যাবে, তার বাবাকে আর অফিস কামাই করে তাকে পৌঁছে দিতে হবে না।
অনুকে জানলার ধারের সিটে বসিয়ে বাবা প্ল্যাটফর্মে নেমে এলেন। অনু বলল, তোমরা চিন্তা কোরো না, আমি ঠিক পৌঁছে যাব।
ট্রেন যখন ছাড়ব-ছাড়ব করছে, অনুর বাবা তার জামার পকেটে একটা কিছু গুঁজে দিলেন। দিয়ে বললেন, যদি রাস্তায় ভয় পাস বাবা, এই জিনিসটা বার করে দেখিস।
ট্রেন ছেড়ে দিল, অনুর জীবনে এই প্রথমবার যে সে একেবারে একা। সঙ্গে মা-বাবা নেই, দরকার পড়লেও তাদের সাহায্য এখন পাওয়া যাবে না। অস্বস্তি কাটাবার জন্য জানলার বাইরে মন দিল সে। পৃথিবীর নানা রঙের টুকরো টুকরো ছবি সেখানে ছিটকে ছিটকে পেরিয়ে যাচ্ছে। কখনও দেখা গেল একলা কৃষক আনমনে পথ হেঁটে চলেছে তার হাল আর বলদ নিয়ে, কখনও দেখা গেল আকাশের বুকে আলপনা এঁকে উড়ে চলেছে একসারি বলাকা, আবার কখনও বা সূর্যকে আড়াল করা মেঘের ফাঁক-ফোকর দিয়ে ঠিকরে বেরোচ্ছে একফালি রোদ।

এইভাবে অপরাহ্ন পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে এল। ট্রেনের ভেতর লোকজনের হট্টগোল, হকারদের যাওয়া-আসা, চিৎকার-চেঁচামেচি ক্রমশ স্তিমিত হতে লাগল। অনুর জানলার আকাশে এখন চাপ চাপ অন্ধকার শুধু। সেই মুহূর্তে নিজেকে খুব একা মনে হতে লাগল অনুর। ভাবল, এইভাবে জিদ করে একা না এলেই বোধহয় ভালো হত। মুখ ঘুরিয়ে সবাইকে দেখতে লাগল সে। সবাই কেমন যেন চুপচাপ, উল্টোদিকের যে লোকটা মাঝেমাঝেই তার দিকে তাকাচ্ছে, তার মুখে যেন একরাশ শূন্যতা! ওদিকে কয়েকটা ষন্ডামার্কা লোকজন, কী তাদের মতলব ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। এবারে অনু বেশ ভয় পেয়ে গেল, জানলার কোণটায় আরও গুটিয়ে গেল সে। হে আল্লাহ, এ রাত কতক্ষণে শেষ হবে! গলা শুকিয়ে এল তার, হাত-পা কাঁপতে লাগল, চোখের কোণটা জলে ভরে এল, রুমাল বার করে কপালের ঘাম মুছল বারকয়েক।
হটাৎ অনুর মনে পড়ল, বাবা না জানি কি একটা তার পকেটে গুঁজে দিয়েছিলেন শেষমূহূর্তে! কোনোরকমে কাঁপা কাঁপা হাতে পকেট থেকে বার করে নিয়ে এল সেটা। এক টুকরো কাগজ, আর তাতে লেখা, *ভয় পাস না বাবা, আমি তোর পাশের কম্পার্টমেন্টেই আছি।*
আমাদের জীবনের ট্রেনটিও ঠিক এইভাবেই ছুটে চলেছে। যখন আল্লাহ আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠান, তিনি আমাদের পকেটে এক টুকরো কাগজ এইভাবেই গুঁজে দিয়েছেন। তাতে লেখা আছে *আমি তোমাদের সঙ্গেই চলেছি, তোমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই আছি, শুধু একবার ডাক দিও, দেখবে তোমাদের পাশেই আমি দাঁড়িয়ে আছি।*
তাহলে আর চিন্তা কী! শুধু বিশ্বাস করো, শুধু একবার প্রাণভরে ডাকো, আর দেখবে, তিনি দু-হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর মুখে একরাশ ভুবন ভোলানো হাসি আর এক জোড়া ক্ষমাসুন্দর চোখ! তাহলে আর কীসের ভয়! কীসের দুশ্চিন্তা! কীসের এত ভাবনা!
Tag
আরও খবর


রাজশাহীতে ফল মার্কেটের দাবি ব্যবসায়ীদের

৫৩২ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে




মা-বাবার বিশ্বাস

৫৭৭ দিন ৭ ঘন্টা ১ মিনিট আগে


জীবনে সময় ফিরে আসে না

৫৮৮ দিন ৫ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে