কিশোর গ্যাং ও ইভটিজিং প্রতিরোধে পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেন পরিচালনা বানারীপাড়ায় বাংলাদেশ বাণী পত্রিকার ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ভিসার নামে ৪৫ লাখ টাকার প্রতারণা; রাউজানে অভিযোগ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচ জনের মৃত্যু লোহাগড়ায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুর থানার এজাহারভুরক্ত আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন কালিগঞ্জের মৌতলায় বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ শালফা টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইউসুফ আলীর স্ত্রীর জানাজা সম্পন্ন চিত্রশিল্পী কাজী শামীমা রুবী শ্যামনগরে প্যাথলজী গুলোতে অভিযান দুটিতে জরিমানা, একটি বন্ধ ঘোষণা ইসলামপুরের ৭১ এতিমখানার দরিদ্র শিক্ষার্থীরা পেল সৌদি সরকারের দুম্বার গোশত ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন চায় জবি শিবির ছাত্রদল জকসু নির্বাচন পেছাতে চায়, অভিযোগ ছাত্রশক্তির জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল জবির প্রশাসনিক, আর্থিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইউটিএলের ২০ দাবি গ্রাম পুলিশদের প্যান্ট দিলেন আলমগীর কবির মোংলায় সংক্ষিপ্ত সফরে পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান নবাগত ইউএনও সাথী দাসের সাথে গোয়ালন্দ সাংবাদিক ফোরাম নেতৃবৃন্দের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় ময়মনসিংহে তুচ্ছ ঘটনায় খুন ককুলিয়ারচরে পানিতে ডুবে ২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু

ইসলামপুর থানায় হত্যাসহ ধর্ষণ মামলার আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে : তদন্ত কাজের নেই অগ্রগতি

জামালপুরের ইসলামপুর থানায় হত্যাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কাজে অগ্রগতি না হওয়ায় দীর্ঘদিনেও উদঘাটন হচ্ছে না ঘটনার রহস্য। ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে দুর্ধর্ষ ও দাগি আসামি। তবে থানা-পুলিশের দাবি, আসামি গ্রেপ্তারে যথাযথভাবেই কাজ করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৮অক্টোবর) সকালে উপজেলার গুঠাইল এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। এঘটনায় ওইদিন রাতে পার্শ্ববর্তী বেলগাছা ইউনিয়নের শিলদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম উল বাশারকে (৪৫) আসামি দিয়ে ইসলামপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী  স্কুলছাত্রীর বাবা। পরদিন বুধবার বিকেলে ওই ঘটনার বিচারের দাবিতে গুঠাইল বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল হাই বলেন, 'আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

গত ৫ আগষ্ট ভোরে মুখশিমলা গ্রামে একটি পুকুর থেকে ৪০ বছর বয়সী অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৭ আগষ্ট এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি দিয়ে হত্যা মামলা করেন। এখনো খুনের শিকার ওই নারীর পরিচয়সহ খুনিরা সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। 

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেবাশিষ চন্দ্র দত্ত বলেন, ’লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছি।'

২৮ জুন গভীর রাতে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে নিজবসত ঘর থেকে তোলে নিয়ে বাড়ির উঠানে কুলকান্দী ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুর রহিম খন্দকারকে কুপিয়ে হত্যা করে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। ১ জুলাই তাঁর স্ত্রী রেহেনা খন্দকার বাদী হয়ে ২১ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন। 

রেহেনা খন্দকার বলেন, ’পুলিশ এলাকায় আসে না।  এজাহারভুক্ত আসামিও গ্রেপ্তার হয়নি। খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলন করেছি।'

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. সোহেল রানা বলেন, ’ঘটনাস্থল যমুনার নদীর দুর্গম অঞ্চল। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’ 

নিখোঁজের দুই দিন পর বহ্মপুত্র নদ থেকে ২ সেপ্টেম্বর মনিরুল নামে এক কৃষককের লাশ উদ্ধার করে শেরপুর সদর থানা-পুলিশ। মনিরুল বোলাকীপাড়া গ্রামের মৃত কছর হাজির ছেলে। ৯ সেপ্টেম্বর ১০ জনের নামে মনিরুলের মা জহুরা আক্তার বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করলেও আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমীন বলেন, ’আমি মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা। ১৩ অক্টোবর দায়িত্ব দেওয়ার পরপরই অভিযানে এসেছি।’ 

২২ মার্চ পৌর শহরের ফকিরপাড়া গ্রামে নিজ বসতবাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে স্বপ্না বেগম (৪৫) নামে হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৩ মার্চ স্বপ্নার স্বামী পতু শাহ ফকির তাঁর প্রথম স্ত্রীর ঘরের ছেলে রাসেলসহ অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় দীর্ঘদিনেও হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদঘাটন হয়নি। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ’আমি মামলাটির তিন নম্বর তদন্ত কর্মকর্তা। ২৮ আগষ্ট দায়িত্ব পেয়েই তদন্ত শুরু করেছি।

১২ আগষ্ট সদর ইউনিয়নে ১০ বছর বয়সী এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে বলাৎকারের শিকার হয়। ১৬ আগষ্ট নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করলেও আসামি হানিফ গ্রেপ্তার হয়নি। 

২০২৩ সালের ২ আগষ্ট গভীর রাতে বেলগাছা ইউনিয়নে ৩০ বছর বয়সী এক বাক্-প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হন। ৩ আগষ্ট তাঁর বাবা মামলা করেন। পরপর তিনজন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামি ইব্রাহিম খলিল।

মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, ’আমি মামলাটি চার নম্বর তদন্ত কর্মকর্তা। ২৮ জুন দায়িত্ব পেয়েই তদন্তে নেমেছি।'

ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ইমরুল হাসান বলেন, 'মামলারগুলোর রহস্য উদঘাটনসহ আসামি গ্রেপ্তারে সংশ্লিষ্টদের তাগাদা দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত সেবিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছি।'

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আতিকুর রহমান বলেন, ’মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে। শিগগিরই মামলারগুলোর রহস্য উদঘাটনসহ আসামি গ্রেপ্তার হবে।'

আরও খবর