বট বাংলা অঞ্চলের আদিমতম বৃক্ষ। বটগাছকে ঘিরে বাংলা অঞ্চলের রয়েছে শত-সহস্র বছরের ইতিাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন। বটগাছ নিয়ে বাংলা সাহিত্য ও রচনা লেখা হয়েছে।
উষ্ণ আবহাওয়ায় বিশাল আয়তনের এই ছায়াবৃক্ষটি অনেক উপকারে আসে। প্রাচীনকাল থেকেই বটবৃক্ষের ছায়ায় হাট-বাজার বসে, মেলা হয়, লোকগানের আসর বসে, জনসভা হয়। কারণ হিসেবে বলা যায়, বাংলার গ্রামাঞ্চলে বড় বড় সুশীতল হলরুম নেই। আর তাই বড় বড় অনুষ্ঠান ও জনসভাগুলো ছায়াসুনিবিড় বটতলায় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দেয়াপাড়া গ্রামে আজও দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী সেই বটবৃক্ষ—তা যেন কালের সাক্ষী হয়ে আছে গ্রামীণ জীবনের নানা স্মৃতি বুকে ধারণ করে। বিশাল এই বটগাছের ছায়াতলেই রয়েছে ঈদগাহ ময়দান, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে মুসল্লিরা সমবেত হয়ে নামাজ আদায় করে আসছেন।
বটগাছের পাশেই বহু বছর ধরে ছোট্ট দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি আমির হোসেন দরবেশ। তিনি জানান—“এই বটগাছ আর ঈদগাহ ময়দানই আমাদের গ্রামের গর্ব।বহু বছর থেকেই এখানে দোকানদারি করছি। গ্রামের মানুষজন এই বটতলেই আড্ডা দেয়, বিশ্রাম নেয়, আবার ঈদের দিন ময়দানে সমবেত হয়।”
গ্রামের প্রবীণদের মতে, এই বটগাছ শুধু ছায়া-শীতলতার প্রতীক নয়, বরং এক ঐতিহাসিক নিদর্শনও বটে। সময়ের সাথে বদলেছে অনেক কিছু, কিন্তু দেয়াপাড়ার এই শতবর্ষী বটগাছ আজও মানুষের আস্থা, ঐক্য আর স্মৃতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
১ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে