দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সাতক্ষীরার উন্নয়ন নিয়ে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদনকে ঘিরে তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে জেলার সর্বস্তরের মানুষ। এ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ‘সাতক্ষীরা উন্নয়ন ফোরাম’। কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সদস্য সচিব প্রভাষক ওমর ফারুক এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য মোঃ জাহিদুল ইসলাম। মানববন্ধনে রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, প্রথম আলো প্রকাশিত এ প্রতিবেদন সাতক্ষীরার মানুষের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। তারা সংবাদটিকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানান।
প্রভাষক ওমর ফারুক বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর সরকার যখন সাতক্ষীরায় বড় আকারের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে, তখনই প্রথম আলো গাত্রদাহে ভুগছে। ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এই পত্রিকাটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এড. আব্দুস সুবহান মুকুল বলেন, ভুল বা বিকৃত তথ্য দিয়ে সাতক্ষীরার ন্যায্য উন্নয়ন দাবিকে খাটো করা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দীর্ঘদিন অবহেলিত এ জেলার মানুষকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। সাতক্ষীরার উন্নয়ন দাবিকে প্রতিহত করার যে অপচেষ্টা চলছে তা কখনোই সফল হবে না।
মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নাম ব্যবহার করে যে অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সরাসরি সাতক্ষীরার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। সত্যকে বিকৃত করার এই চেষ্টা সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থী।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন বলেন, ফ্যাসিস্ট বিদায়ের পরও প্রথম আলো উন্নয়নবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সাতক্ষীরার অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর মাধ্যমে তারা আবারও নিজেদের আসল চরিত্র প্রকাশ করেছে।
মানববন্ধনে সাতক্ষীরার উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু দাবিও উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
১. সাতক্ষীরায় একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
২. আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর নির্মাণ।
৩. কৃষিপণ্যের সংরক্ষণের জন্য আধুনিক হিমাগার স্থাপন।
৪. ভোমরা স্থলবন্দরকে আধুনিকায়ন।
৫. পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন ও সম্প্রসারণ।
৬. জেলার সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান।
বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরার উন্নয়ন দাবিকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। জেলা ও জাতীয় স্বার্থে উন্নয়নকাজ অব্যাহত রাখতে হবে। সংবাদপত্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন না ছেপে সত্য ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।
কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাতক্ষীরার উন্নয়ন শুধু জেলার মানুষের দাবি নয়, বরং এটি একটি জাতীয় দাবি। তাই উন্নয়ন ব্যাহত করার অপচেষ্টা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।
১ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে