আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী নিশ্চিত করেতে পেরেছে কি?
মোঃ ফরমান উল্লাহ,বিশেষ প্রতিনিধি
গতকাল ছিল ১লা মে,আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। যথাযোগ্য মর্যদায় দিবসটি পালিত হয়েছে। অনেক দিবসের র্যালীতে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিয়েছেন দুনিয়ার মজদুর এক হও।
গতকাল দেখা গেল আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের র্যালীতে শ্রমিকদের চেয়ে বিশী অংশ গ্রহণ ছিল রাজনৈতিক নেতাদের।এই রাজনৈতিক নেতারাই একদিন শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন। গার্মেন্টস কর্মীরা যখন তাদের ন্যায্য মজুরি পাওয়ার জন্য রাজ পথে আন্দোলন করেছে তখন মালিক পক্ষ তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা শ্রমিকদের উপর বেআইনী ভাবে প্রয়োগ করেছে। এতে তাদের সহযোগিতা করেছে পুলিশ। দুঃখের বিষয় সে সময় পুলিশও ভুলে গিয়েছিল সে ও একজন শ্রমিক। পার্থক্য এতটুকু একজন সরকারী শ্রমিক আরেক জন বেসরকারী শ্রমিক।
১৮৮৬ সালে শ্রমিক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য। শ্রমিকরা দৈনক ৮ ঘন্টা কাজ করবে। এরবেশী সময় কাজ করতে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিতে হবে। বর্তমানে যেটা বোনাস নামে পরিচিত। বর্তমানে শ্রমিকরা নির্ধারিত সময়ে কাজে হাজিরা দিলেও নির্ধারিত সময়ে অফিস ত্যাগ করতে পারছেন না।অফিসে আসার নির্ধারিত সময় থাকলেও অফিস ত্যাগের নির্ধারিত সময় নেই।
বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠানে ওভারটাইম আছে কি না আমার জানা নেই। বেশীর ভাগ অফিসে শ্রমিকরা অতিরিক্ত সময় কাজ করলেও তারা পাচ্ছে না অতিরিক্ত সময়ের মজুরি। এতে করে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শ্রমিকদের টকিয়ে মালিক পক্ষ হচ্ছে আঙ্গুল ফোলে কলা গাছ। কর্মস্থলে প্রতিনিয়ত শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকাড় হচ্ছে। শুধু পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে নয়,এই নির্যাতন হচ্ছে শারীরিক মানসিকভাবে।
শ্রমিকরা সারা মাস পরিশ্রম করেও সঠিক সময়ে তাদের পারিশ্রমিক পায় নি।ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে আমরা ছোট সময় দেখছি শ্রমিকরা সাপ্তাহ ব্যাপী কাজ করেছে।মালিক শারিশ্রমিক দেন নি। বলেছে শুক্রবার দিন বাজারে দিবে। মালিকের এই আশ্বাস বিশ্বাস করে শুক্রবার সকালে বাজারে গিয়ে সারা দিন মালিকের জন্য অপেক্ষা করছে। অথচ মালিক ঐ শ্রমিকের সাথে দেখাই করে নি।
নিরুপায় হচ্ছে ঐ শ্রনিক খালি হাতে বাজার থেকে ফিরে এসে সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে দিনাতি পাত করেছে।এবার ভেবে দেখুন শ্রমিক তাদের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে কি না? এভাবেই দিনের পর দিন মালিক পক্ষ শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
শ্রমিকরা নিজেদের ন্যায্য অধিকারের জন্য শতাধিক বছর পূর্বে আন্দোলন করে শহীদ হলেও আদৌ প্রতিষ্ঠিত হয় নি শ্রমিকের অধিকার। এখনও শ্রমিকদের মালিক পক্ষ শোষন করেই চলেছে। এই শোষনের প্রতিবাদ করলেই শ্রমিকদের নির্বিচারে ছাটাই করা হচ্ছে।
প্রতি বছর শুধু মাত্র ১লা মে দিবসে গলাফাটিয়ে মিছিল করলেই শ্রমিকের অধিকার আদায় হবে না। অধিকার আদায়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব ও নেতা।
৪২ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
২০ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে