আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস
মোঃ ফরমান উল্লাহ,বিশেষ প্রতিনিধি
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী(শুক্রবার) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।ইংরেজীতে যাকে বলা হয় Valentine day. প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারী সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকা,বন্ধু-বান্ধব,স্বামী-স্ত্রী,ভাই-বোন,ছাত্র-শিক্ষক সহ অনেকে একে অন্যকে ভালোবাসা এবং বিভিন্ন মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানায়। বর্তমান বিশ্বে দিবসটি আনন্দের সাথে পালন করে থাকে।বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
এই দিবসটি যুক্তরাষ্ট্র বা পাশ্চাত্য দেশগুলোতে সীমা বদ্ধ ছিল।বর্তমানে সারা বিশ্বে দিবসটি আনন্দের সাথে পালন করা হয়ে থাকে। প্রাচীন রোমে ১৪ ফেব্রুয়ারী ছিল রোমান দেবদেবীর রাণী জুনোর সম্মানে ছুটির দিন।জুনোকে রানী ও প্রেমের দেবী বলে লোকেরা বিশ্বাস করতো।
কারো কারো মতে প্রাচীন রোমে ভ্যালেন্টাইন নামক একজন চিকিৎসক ছিলেন।তিনি রোগীদের প্রতি ছিলেন ভীষন সদয়।কোন রোগীর ঔষধ খেতে কস্ট হলে তিনি ঔষধের সাথে দুধ এবং মধু মিশিয়ে খেতে দিতেন।একদিন এক কারা প্রধান তার অন্ধ মেয়েকে ভ্যালেন্টাইনের নিকট নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। ভ্যালেন্টাইন কথা দিয়েছিলেন তিনি তার সাধ্যমত চিকিৎসা করবেন।মেয়েটির চিকিৎসা চলছিল এমন সময় হঠাৎ একদিন রোমাম সৈন্যরা ভোলেন্টাইনকে বেধে নিয়ে যায়।
ভ্যালেন্টাইন বুঝতে পেরেছিলেন খ্রীস্টান হওয়ার কারণে তাকে মেরে ফেলা হবে।২৬৯খ্রীস্টাব্দে কারো মতে ২৭০ খ্রীস্টাব্দে ১৪ই ফেব্রুয়ারী রোমান সম্রাট ক্লাডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যু দন্ড কার্যকর করা হয়।তার আগে ভ্যালেন্টাইন অন্ধ মেয়েটিকে বিদায় জানিয়ে একটি চিরকুট রেখে গিয়েছিলেন। ভ্যালেন্টাইনকে হত্যার পর কার প্রধান চিরকুটটি দিয়েছেন মেয়েটিকে।
তাতে লেখা ছিল ইতি তোমার ভ্যালেন্টাইন।মেয়েটি চিরকুটের ভিতরে বসন্তের হলুদ ফুলের আশ্চার্য রং দেখতে পেয়েছিল। কারণ এরই মধ্যে ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় মেয়েটির অন্ধ দুচোখে দৃস্টি ফিরে এসেছিল।
ভালোবাসার এসব কৃতির জন্য ৪৯৬ খ্রীস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়ুজ ১৪ই ফেব্রুয়ারী তারিখকে Valentine Day হিসাবে ঘোষনা করেন। এর পর থেকে সারা বিশ্বে ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা Valentine Day হিসাবে পালন হয়ে আসছে।
অপ্রিয় হলেও সত্য বর্তমানে বাংলাদেশে দিবসটি পালন করতে গিয়ে যুবক-যুবতীরা অশ্লিলতায় মগ্ন হয়ে পড়েছে। এ থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে না পারলে
আমাদের সমাজে নেমে আসবে অবক্ষয় যার খেসারত দিতে হবে সবাইকে।
এজন্য অভিভাবকদের আরো অধিক সচেতন হতে হবে আমাদের উঠতি বয়সের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য।যাতে করে এ ভালোবাসা দিবসকে পালন করতে গিয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম অঙ্কুরেই বিপদগামী হয়ে না যায়।
২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে