নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত এনসিসি গঠনে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ সুনামগঞ্জ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ আল হেলাল কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অর্ধযুগ পূর্তি শ্রীপুরে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। জয়পুরহাটে সামাজিক ও রাজনৈতিক সহনশীলতা বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে সার ও চাল খালাস বন্ধ পরিবেশ রক্ষায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বেগমগঞ্জে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ গ্রেপ্তার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক! জাগো মুসলমান - আর. এম. কারিমুল্লাহ আমরা খামেনিকে এখনই হত্যা করব না: ট্রাম্প যে কারণে পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা জরুরি জানভির মিউ মিউ লুকে লন্ডনের ফ্যাশন সন্ধ্যায় ঝলকানি লাখাইয়ের গোপিনাথ লিবিয়ায় অপহরণের শিকার ; শোনালেন নির্যাতনের কাহিনী শান্তিগঞ্জে জামায়াতের সাংগঠনিক ও বায়তুলমাল পক্ষের প্রস্তুতি সভা ক্ষেতলালে সরকারি পুকুর লীজকে কেন্দ্র করে নারী উদ্যোক্তাকে মারধর কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই

বাবার লাশের একটা টুকরো হলেও ছুঁয়ে দেখতে চাই: ডরিন

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 24-05-2024 12:46:20 pm

কলকাতায় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনারুল আজীম আনারের কন্যা মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন আবারও তার বাবা হত্যার বিচার চেয়েছেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, ‘আমার বাবার লাশের একটা টুকরো মাংস হলেও চাই। যে মাংসের টুকরো ছুঁয়ে দেখতে পারি। সে মাংসের টুকরোকেই বাবা মনে করে জানাজা ও দাফন-কাফন করতে চাই।’


২৪ মে, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে এমপি আনার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও হত্যা পরিকল্পনাকারীকে আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধন চলাকালে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।


ডরিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাবা হারানোর ব্যথা-কষ্ট বোঝেন, তিনি আমার বাবা হারানোর বেদনা বুঝবেন। তার বাবার হত্যার বিচার করেছেন, আমার বাবা হত্যার বিচারও তিনি করবেন। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীকে ধরার পরই খতিয়ে দেখা যাবে আসলে কী জন্য সে এত বড় অপকর্ম করল। এর বিচার অবশ্যই হবে।’


এমপিকন্যা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে। গতকালও কথা বলেছি। আমরা আইনের আশ্রয় নেব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আছেন, আওয়ামী লীগের দলীয় সর্বোচ্চ অভিভাবকরা আছেন, তারা আমাদের পরামর্শ দেবেন এবং তারা অবশ্যই তাদের দলীয় এমপি হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। কালীগঞ্জের মানুষের সুখে-দুঃখে যিনি সবসময় পাশে থেকেছেন, সেই মানুষটির হত্যার বিচার আমরা চাই। আমরা কোনো শৃঙ্খলা হানি করতে চাই না।’


মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ।


এসময় উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মতি, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেনসহ আওয়ামী লীগের সব ইউনিটের নেতাকর্মী এবং শত শত সাধারণ মানুষ।


এর আগে সকালে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এমপি কন্যা ডরিন জানান, তিনি ভারতের ভিসা পেয়েছেন। তবে ডিবি অফিস থেকে তাকে বলা হয়েছে, যখন প্রয়োজন হবে তখন ভারতে যেতে হবে।


ডরিন বলেন, ‘আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তারা প্রি-প্লানিং করে হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেই আমার বাবাকে হত্যা করেছে। দুই মাস ধরে পরিকল্পনা করে সাজিয়ে গুছিয়ে তারা এই কাজটি করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে অনেকে জড়িত আছে। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে কারা এর সাথে জড়িত। যার নাম উঠে এসেছে প্রশাসনকেই তাকে খুঁজে বের করতে হবে। বিদেশ থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। কান টানলে মাথা আসবে। তার মাথার উপরে আরও অনেকে থাকতে পারে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তদন্তের মাধ্যমে যেটাই বেরিয়ে আসুক, সেটা রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক যেটাই হোক, তাদের শাস্তি চাই। আমার বাবা কালীগঞ্জ শহরে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে রাজনীতি করেছেন, তার শত্রু থাকতেই পারে। রাজনৈতিক বিষয়ে হত্যা কি না সে বিষয়টি ফেলা দেওয়া যাচ্ছে না।’


এমপিকন্যা বলেন, ‘২০০৪ সালে বাবা যখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন, তখন বিএনপির একটি গ্রুপ তার পেছনে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তার নামে সকল মামলা মিথ্যা বলে প্রমাণ করেছেন আদালত।’


‘আমার বাবার নামে যদি অভিযোগ সত্যি হতো তাহলে তো আর আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হতো না। বাবা একজন নেতা হিসেবে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন, এজন্য তার শত্রুও ছিল। এখন অনেক পুরনো কথা উঠে আসছে। এসব পুরনো কথা টেনে সামনে আনার কোনো দরকার নেই। সে যদি বলতেই হয় তাহলে এটাও সামনে আনেন, আমার বাবা দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে বাড়িতে আসতে পারেনি, আমাদের মুখ দেখতে পারেনি, সেই কষ্টের কথাও তুলে ধরেন আপনারা।

আরও খবর