যেদিন থেকে আবারও বৃষ্টি এআই জীবনধারা সহজ করলেও সভ্যতার জন্য ঝুঁকি: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আইপিএলে আবারও শাহরুখের দলে যোগ দিলেন সাকিব আবার ঢাকাসহ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট আদমদীঘিতে মোটরসাইকেল শোডাউন, দুই প্রার্থীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা চিলমারীতে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা একার কারো নয়, এর মালিক সরকার ও ঋণ গ্রহীতারা" সাইফুল মজিদ উখিয়ায় গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে রোহিঙ্গা নিয়ে সেমিনার, ৩২ জন আটক পাঁচবিবি মডেল প্রেসক্লাবের যাত্রা শুরু সভাপতি জিহাদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আল-কারিয়া চৌধুরী কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর বাজারে বিষ প্রয়োগে করে মৌমাছির চাক বিনষ্ট শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন’ সুন্দরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আলম তানোরে রাস্তায় নিম্নমানের বিটুমিন ও ইটের খোয়া ব্যবহার লাখাইয়ে আলোচিত নয়ন হত্যার রহস্য উদঘাটন,নারীসহ ৪ আসামী গ্রেপ্তার। নোয়াখালীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ঘাতক স্বামী ২২বচর পর গ্রেপ্তার সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রর ৬’শ একর জমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি অভয়নগরে শরীফ হজ্ব গ্রুপের উদ্যোগে হজ্ব প্রশিক্ষণ-২০২৪ইং অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে চিংড়ী চাষিদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্র ফোরামের উদ্যােগে ভর্তি সহায়তা প্রদান ইসরায়েলী আগ্রাসন বন্ধের দাবীতে লক্ষ্মীপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ

সাতক্ষীরায় তীব্র তাপদাহে চিংড়ি ঘেরে মাছ মারা যাওয়ায় দিশেহারা চাষি

সাতক্ষীরায় তীব্র তাপদাহে চিংড়ি ঘেরে মাছ মারা যাওয়ায় দিশেহারা চাষি



মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:  

সাতক্ষীরা জেলার দক্ষিণ অঞ্চলকে চিংড়ি মাছ চাষের একমাত্র জিবিকা নির্বাহের পথ।শ্যামনগরে প্রচন্ড তাপদাহে চিংড়ি ঘেরে মড়ক দেখা দিয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চিংড়ি চাষিরা। মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রচন্ড তাপদাহ, পর্যাপ্ত পানির অভাব, অতিরিক্ত লবণাক্ততা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানাবিধ কারণে ঘেরে বাগদা চিংড়ি মরে যাচ্ছে।


সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বাগদা ও ১১০ হেক্টর জমিতে গলদা চিংড়ির চাষ হয়। ছোট-বড় মিলিয়ে বাগদা চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩২৮ ও গলদা চাষের ঘের আছে ১ হাজার ৪১০টি।


উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের আড়পাঙ্গাসিয়া এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মাহাবুব আলম জানান, বছরের শুরুতে ঘেরে পোনা মাছ ছাড়া হয়। দুই সপ্তাহ আগে থেকে ঘেরে মাছ মরে ভেসে উঠছে। আর যেসব জীবিত মাছ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর শরীরও দুর্বল। মাছ লালচে হয়ে যাচ্ছে।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পোড়াকাটলা গ্রামের চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী সন্তোষ মন্ডল  একই এলাকার জয়ন্ত মন্ডল জানান, তারা ৫০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে বাগদা চিংড়ি চাষের জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকা লোন করেছেন। চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে যে পরিমাণ মাছ পাওয়ার আশা ছিল, তাতে লোন পরিশোধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ মাছ মরার কারণে এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকারও মাছ বিক্রি হয়নি।


ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের গুমানতলী এলাকার চিংড়ি চাষি ইব্রাহিম খলিল জানান, ২০১২ সাল থেকে তিনি ঘের করছেন। এবারও ১০ বিঘা জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করেছেন। ঘেরে ৪৫ হাজার বাগদার পোনা ছেড়েছিলেন। এখন প্রতিটি ৪০ গ্রাম করে ওজন হয়েছে। কিন্তু তীব্র এই গরমে পানি বিষিয়ে ওঠার কারণে মাছ মারা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তার ঘেরে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। তাছাড়া নিয়মিত পরিচর্যাও করা হয়। তবে রৌদ্রের কারণে কোনো হিসাব নিকাশ মিলছে না।

একই এলাকার চিংড়ি চাষি রাজু আহমেদ বলেন, তিনি এবার নিজের এবং অন্যের জমি ইজারা মিলিয়ে ২০০ বিঘা জমিতে চিংড়ি চাষ করেছেন। প্রথম কোটায় অবমুক্ত করা বাগদা মাছ মরে গেছে। এতে তার তিন লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তার এলাকার ঘেরগুলোতে পর্যাপ্ত পানি নেই বলে জানান তিনি। তার ওপর প্রচণ্ড রৌদ্রের জন্য পানি লালচে হয়ে উঠছে। এছাড়াও কয়েকজন চিংড়ি চাষি জানান, এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কোনো চিংড়ি ঘেরে গিয়ে কী কারণে মাছ মারা যাচ্ছে বা তাদের কী করা উচিত সে বিষয়ে কেউ পরামর্শ দেয়নি। তাই একমাত্র জীবিকা চিংড়ি চাষ নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন তারা। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর শ্যামনগরে চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ৭ হাজার ৬৯৯ টন। তবে চলতি মৌসুমে চিংড়ি উৎপাদন গতবারের তুলনায় অনেক কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


চিংড়ির আড়তদাররা জানান, এবার মাছ মরে যাওয়ার কারণে মাছের উৎপাদন কম। এজন্য বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে এসেছে। শ্যামনগর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার বলেন, বিভিন্ন কারণে বাগদা চিংড়ি মারা যায়। তবে এবার প্রচন্ড তাপদাহ, পর্যাপ্ত পানি না থাকা ও অতিরিক্ত লবণের কারণে বেশি মাছ মারা যাচ্ছে। এছাড়া মৌসুমের শুরুতে ঘের প্রস্তুত করার সময় চাষিরা ঘেরের মাটির সঠিক পরিচর্যা করেনি। জমির ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য যে পরিমাণ চুন ব্যবহার করার দরকার তাও ঠিকমতো করেনি। তবে এমন অবস্থা থেকে রেহাই পেতে মৎস্য চাষিদের উদ্দেশ্যে বলেন, মৌসুমের শুরুতে ঘের প্রস্তুত করার সময় ঘেরের মাটি কেটে গভীরতা বৃদ্ধি করা জরুরি।


Tag
আরও খবর
664787c310e18-170524103723.webp
যেদিন থেকে আবারও বৃষ্টি

৩ ঘন্টা ১ মিনিট আগে