◾ বাসস
রিজার্ভের অর্থ দেশের উন্নয়ন, আমদানি ও জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়? যারা এ প্রশ্নটা করেন তাদের বলছি, রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে দেশের জনগণের জন্য খাদ্য কেনায়, সার কেনায়। রিজার্ভের টাকা জনগণের কল্যাণে এবং আমদানিতে ব্যয় হয়েছে। কেউ এ অর্থ আত্মসাৎ বা অপব্যবহার করেনি।’
নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন পায়রা সমুদ্রবন্দরে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি। মানুষের কাজেই লেগেছে, কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের আমদানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা কাজে লাগাচ্ছি।’
উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে—বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং, আটটি জাহাজের উদ্বোধন, প্রথম টার্মিনাল এবং ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকা পটুয়াখালী জেলার পায়রায় যুক্ত হয়ে ১১ হাজার ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
সরকারপ্রধান বলেন, সামান্য সার্ভিস চার্জে এ টাকা আসলে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে এবং ঘরের টাকা ঘরেই থাকছে, কেবল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর হয়েছে।
নৌরুট উন্নয়নের জন্য গৃহীত প্রকল্পগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও প্রাণবন্ত, শক্তিশালী ও উন্নত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর নামটি তারই দেওয়া এবং তার সরকার এখানে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছে। এ বন্দরে কয়লার জাহাজ আনয়নের মাধ্যমেই বন্দরের জাহাজ চলাচল শুরু হয়।
তার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল নিজস্ব অর্থায়নে এটি করবেন কারণ, বিদেশি অর্থে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কারণে বাংলাদেশের রিজার্ভের টাকা দিয়েই তিনি একটি ফান্ড তৈরি করেন। যার নামও তিনি নিজেই রাখেন ‘বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড’ (বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল) এবং সেই ফান্ডের টাকা দিয়েই বন্দরের ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়। যাতে আমাদের রিজার্ভের টাকা আমাদের অবকঠামো উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা সম্ভব হয়। সেজন্যই এ পদক্ষেপ বলেও তিনি জানান।
প্রতিটি বন্দরের নাব্য রক্ষায় তার সরকার বন্দরগুলোয় নিজস্ব ড্রেজারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছরই মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং আমাদের করে যেতে হবে।’
তার সরকার এ ড্রেজিং করে নৌপথটাকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসাম ও ভুটান পর্যন্ত এ নৌপথ চালু হতে পারবে। সরকার ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর নেপাল, ভুটান ও ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এক পাশে মোহনা এবং এক পাশে চট্টগ্রাম বন্দর থাকায় এ পায়রা বন্দরও একসময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আমি আশা করছি।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও বন্দর কতৃর্পক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইল অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
১৩ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৪ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৫ দিন ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৬ দিন ১৫ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৭ দিন ১৭ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৮ দিন ৩ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
১১ দিন ১৬ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে