নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত এনসিসি গঠনে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ সুনামগঞ্জ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ আল হেলাল কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অর্ধযুগ পূর্তি শ্রীপুরে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। জয়পুরহাটে সামাজিক ও রাজনৈতিক সহনশীলতা বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে সার ও চাল খালাস বন্ধ পরিবেশ রক্ষায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বেগমগঞ্জে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ গ্রেপ্তার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক! জাগো মুসলমান - আর. এম. কারিমুল্লাহ আমরা খামেনিকে এখনই হত্যা করব না: ট্রাম্প যে কারণে পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা জরুরি জানভির মিউ মিউ লুকে লন্ডনের ফ্যাশন সন্ধ্যায় ঝলকানি লাখাইয়ের গোপিনাথ লিবিয়ায় অপহরণের শিকার ; শোনালেন নির্যাতনের কাহিনী শান্তিগঞ্জে জামায়াতের সাংগঠনিক ও বায়তুলমাল পক্ষের প্রস্তুতি সভা ক্ষেতলালে সরকারি পুকুর লীজকে কেন্দ্র করে নারী উদ্যোক্তাকে মারধর কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই

আজ ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস।

Md Nazmul Hasan ( Contributor )

প্রকাশের সময়: 04-11-2023 05:14:56 am

সংবিধান দিবস

আজ বাংলাদেশের সংবিধান দিবস। বাংলাদেশের সংবিধান ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ তারিখে গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ (বিজয় দিবস) থেকে কার্যকর হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান হলো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।


১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। ড. কামাল হোসেনের এই কমিটি একই বছরের ১৭ এপ্রিল থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে। জনমত সংগ্রহের জন্য মতামত দেয়ার আহ্বান করা হয়। সংগৃহীত প্রতিক্রিয়া থেকে ৯৮ টি সুপারিশ গৃহীত হয়েছে। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান বিল আকারে পেশ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপরিষদে সংবিধানের ওপর বক্তৃতায় বলেছিলেন, "শহীদদের রক্তে লেখা এই সংবিধান, সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে এই সংবিধান।"


মূল সংবিধান ইংরেজিতে প্রণীত এবং বাংলায় অনুবাদ করা হয়। তাই এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই বিদ্যমান। তবে, ইংরেজি এবং বাংলার মধ্যে শব্দার্থিক দ্বন্দ্ব দৃশ্যমান হলে, বাংলা রূপ অনুসরণ করা হবে।


বাংলাদেশের সংবিধান শুধু বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনই নয়, সংবিধানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মূল চরিত্র বর্ণনা করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানা রয়েছে। দেশ হবে গণতান্ত্রিক, গণতন্ত্র হবে দেশের প্রশাসনিক ভিত্তি, জনগণই হবে সকল ক্ষমতার উৎস এবং বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হলেও দেশ পরিচালিত হবে আইন দ্বারা। সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহণ করা হয়েছে।


সংবিধান রচনার পর এর বাংলা ভাষা পর্যালোচনার জন্য ড. আনিসুজ্জামানকে আহ্বায়ক, সৈয়দ আলী আহসান ও মাজহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ করে কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ব্রিটিশ লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির ড্রাফ্টসম্যান আই. গুথ্রি, হাউস অফ কমন্সে সংবিধানের খসড়া কমিটির বৈঠকে সহায়তা করেছিলেন, যা এখন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। সংবিধান ছাপতে খরচ হয়েছে ১৪ হাজার টাকা। সংবিধান অলংকরণের জন্য শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সদস্য ছিলেন শিল্পী হাশেম খান, জানাবুল ইসলাম, সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও আবুল বারক আলভী।


স্বাধীনতার ৫০ বছর পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছে সংবিধান দিবস। গত বছর থেকে ৪ নভেম্বর ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

আরও খবর