লাখাইয়ের বামৈ গরু বাজারে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি, বিক্রি হচ্ছে ছোট এবং মাঝারি সাইজের গরু।
লাখাইয়ের বামৈ গরু বাজারে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি, বিক্রি হচ্ছে ছোট এবং মাঝারি সাইজের গরু।
লাখাইয়ের বামৈ বাজারে সাধারণত পশু কেনাকাটা জমে শেষ দিকে এসে। আনুষ্ঠানিকভাবে আজ রবিবার (১ জুন) থেকে হাট শুরু হয়েছে। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু হয়েছে ট্রাকে করে কোরবানির পশু। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ছোট থেকে মাঝারি আকারের গবাদিপশুর সংখ্যাই বেশি আসছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বছর ঘুরে আবার কোরবানির ঈদ সামনে। তবে এবার দামি গরু কিংবা ছাগলের বিজ্ঞাপনের চাকচিক্য নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেই কোরবানির পশু নিয়ে বাগাড়ম্বর। যার পেছনে রয়েছে ছাগলকাণ্ডের ছায়া। এ বাস্তবতায় বড় খামারির মধ্যে আছে উদ্বেগও। যদিও চাহিদা কম মনে হলেও বড় পশুর সংখ্যাও কম নয় হাটগুলোতে। আর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে আছে বিস্তর মতপার্থক্য।
খামারিরা বলছেন, এ বছর বড় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে। অনেকেই সস্তা ও ছোট পশুর দিকেই ঝুঁকছেন। সব মিলিয়ে ছাগলকাণ্ডের রেশ গিয়ে ঠেকেছে গোয়ালঘরে, কোরবানির হাটের দরকষাকষিতে, এমনকি খামারির সংসারেও।
এদিকে, গেল কয়েকদিন ধরে চলা বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে বাজারগুলোতে। পশুগুলোর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন ব্যাপারীরা।
রবিবার (১ জুন)সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাখাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বামৈ গরু বাজার কানায় কানায় পুর্ন, হাজারো বিক্রেতা গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু ক্রেতার আনাগোনা খুবই কম,
বামৈ বাজারের গরু ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন,আমি দুটি ষাঁড় নিয়ে এসেছি কিন্তু আমার সঠিক মূল্য দাম হচ্ছে না, তাই বিক্রি করতেছি না,সঠিক দাম হলে বিক্রি করে ফেলবো।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি।
বামৈ বাজারে গরু নিয়ে আসা পুর্ববুল্লা গ্রামের শাহাব উদ্দিন বলেন,এ বছর গরু বাজার সস্তা, ছোট এবং মাঝারি গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি
বিক্রেতা বেশি জায়গা সম্পর্কে জানতে চাইলে
ইজারাদাররা বলছেন, নিজেদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তারা। যাতে খামারি, ব্যাপারী কিংবা কোন পশুর ক্ষতি না হয়।