◾ নিউজ ডেস্ক
বিএনপি-জামায়াত কখনও আলদা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। তারা কখনও আলাদা হতে পারে না, কখনও হবেও না।’
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সোমবার সকালে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাত ধরে বিএনপি-জামায়াতের জন্ম হয়েছে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তারা আইএসআইয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে জামায়াত আর নেই, দলটির আমিরের এমন বক্তব্যের পর এ নিয়ে চলছে আলোচনা। সংগঠনটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম দাবি করেছেন, তাদের আমিরের বক্তব্য সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি। ওই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়নি যে তিনি জোট ছাড়ার কথা বলেছেন। ওই বক্তব্যে এমন কোনো ঘোষণাও ছিল না।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল জামায়াতে ইসলামীর আমিরের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। জামায়াতে বিএনপি জোট ছাড়েনি।’
এই প্রসঙ্গ টেনে হানিফ বলেন, ‘আমি পরিষ্কার বলতে চাই, বিএনপি-জামায়াত কখনও আলাদা হতে পারে না। এটা তাদের রাজনৈতিক কৌশল। কারণ বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান এক সমাবেশে বলেছিলেন, ছাত্রশিবির-ছাত্রদল এক মায়ের পেটের দুই ভাই। আর এক মায়ের দুই সন্তান বিএনপি এবং জামায়াত।’
জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এখন বিচ্ছেদের কথা প্রচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি যতদিন সক্রিয় থাকবে ততদিন ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হবে না। পাকিস্তানের দোসর বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে দিতে হবে। তাদের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, খুনি জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগকে ছিন্নভিন্ন করেছিল। তার লক্ষ্য ছিল, আওয়ামী লীগকে যদি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশে আর কখনো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ঠিক একইভাবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তাদের লক্ষ্য ছিল একটাই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে।
আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছে। মুফতি হান্নান স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি আলী আহসান মুজাহিদ, মাওলানা তাজউদ্দিন, পাকিস্তানের জঙ্গী মজিদ ভাটকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। আজ ইতিহাস উন্মোচন হয়েছে। তবু এখনো তারা মিথ্যাচার করছে।
বিএনপি-জামায়াতকে বয়কট করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। তাই শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আসুন বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিরোধ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে যাই।
১৪ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১ দিন ৩৭ মিনিট আগে
৪ দিন ১৪ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৪ দিন ১৯ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৫ দিন ২৩ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৬ দিন ১৮ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৮ দিন ১১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৮ দিন ১৪ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে