|
Date: 2023-03-28 05:14:41 |
ইভিএমে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ দিয়ে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারের ব্যালট ইস্যুর বাধ্যবাধকতার বিধান অন্তর্ভুক্তি ছাড়াই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী প্রস্তাব মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠছে আজ মঙ্গলবার। এ সংশোধনীতে যেকোনো পর্যায়ে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার সময় ২০২০ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০৩০ সাল করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, আরপিও সংশোধনী মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠবে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। সংশোধনী প্রস্তাবটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয় আলোচনা করে সংশোধনী প্রস্তাব তৈরি করেছে।
জানা গেছে, কয়েক বছর অপেক্ষার পর আরপিও সংশোধনী মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠছে। এতে ১৫-১৭টি ধারা-উপধারায় সংশোধনী আসতে পারে। ইভিএমে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার আঙুলের ছাপে সর্বোচ্চ এক শতাংশ ভোটারকে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যালট ইস্যুর বিধান আরপিওতে যুক্তের প্রস্তাব করেছিল ইসি। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে তা সংশোধনী প্রস্তাবে থাকছে না। বিষয়টি সার্কুলার জারি করার বিদ্যমান যে প্রথা রয়েছে তাই বহাল থাকছে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণ এবং বিল খেলাপিরা তাদের খেলাপি টাকা পরিশোধ করলেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে সাত দিন আগে এসব পরিশোধের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া সংশোধনীর অনুচ্ছেদ ২৫-এ ভোটকেন্দ্রে পেশিশক্তির প্রভাব বিস্তার করলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তা কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন বন্ধ করবেন তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩৬-এ ব্যালট পেপারের পেছনে অফিসিয়াল সিল ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকলে তা গণনায় আনা যাবে না—এমন বিধান স্পষ্ট করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৬(১১)-এ ভোটগণনার বিবরণী ও ব্যালট পেপারের হিসাব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার এজেন্টকে দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৭৮(২) অনুচ্ছেদে ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৪৮ ঘণ্টা ও পরের ৪৮ ঘণ্টায় কেউ বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ, অস্ত্র ও পেশিশক্তি প্রদর্শন এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিতদের ভয় দেখালে সর্বোচ্চ সাত বছর ও সর্বনিম্ন দুই বছর জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সংশোধনীর ৮৪-এ ও ৮৪-বি অনুচ্ছেদে ভোটার, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পেশিশক্তির বিস্তার বন্ধে সাজার কথা বলা হয়েছে।
© Deshchitro 2024