চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) (২৭ ফেব্রুয়ারী)চট্টগ্রাম গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রকাশনামেলা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। CURHS এর উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।


চবির প্রায় প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট পদার্থ ,রসায়ন,উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা,জেনেটিক্স ইন্জিনিয়ারিং,মলিকুলার বায়োলজি,আরবি,সমুদ্র বিজ্ঞান ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট অংশগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ,বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের গবেষনা ও কার্যক্রম স্টলের মাধ্যমে তুলে ধরেন।


মেলায় উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড.শিরিন আখতার,চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. রেনু কুমার দে,প্রফেসর ড.রঞ্জন কুমার চৌধুরী ও আরো আমন্ত্রিত অনেকেই।


চবি উপাচার্য সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে  বক্তৃতা শুরু করেন।উপাচার্য  বলেন জামাল নজরুল ইসলাম স্যার আমাদের দেশেই জন্মগ্রহণ করেন।

পৃথিবীর যে কোনো স্থানেই তিনি কর্মে লিপ্ত থাকতে পারতেন।কিন্তু তিনি তা করেন নি।অনেক কম টাকা বেতন নিয়েই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করতেন।যা বেতন পেতেন তাও বিলিয়ে দিতেন কর্মচারীদের মধ্যে। আমি একদিন জিজ্ঞেস করলাম আপনার বেতন টুকুও বিলিয়ে দিচ্ছেন? 

তিনি বলতেন আমরা চলতে পারি,তারা ত' আমাদের মতো চলতে পারে না।

তিনি বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক সময়    

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ছিল।কিন্তু এখন আর আগের পজিশনে নেই।আমাদের চবিতে এতো বড় বিজ্ঞানী ছিল আমরা কেন পারবো না?

সামনের দিকে এগিয়ে যাই গবেষণার মাধ্যমে। 

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তৃতা শেষ করেন।

চবি উপ-উপাচার্য বলেন জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন আসল দেশপ্রেমিক,গবেষণার বিপ্লব ঘটুক চবিতে।যারা এ আয়োজনের সাথে জড়িত তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস যারা আসছেন এবং বাইরে থেকে আসছেন তারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন।সবার দীর্ঘায়ু কামনা করে বক্তৃতা শেষ করেন

প্রফেসর ড.রঞ্জন কুমার চৌধুরী বলেন জামাল নজরুল ইসলাম স্যারের জীবন দশায় তাকে কতটুকু সম্মান করতে পেরেছি জানিনা।কিন্তু মৃত্যুর পর দেওয়ার চেষ্টা করছি।তিনি উপাচার্যকে লক্ষ করে বলেন চবিতে জামাল নজরুল ইসলাম স্যারের জন্মদিনে যেন গবেষণা দিবস ঘোষণা করা হয়,এটা আমাদের ছোট্ট দাবি।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024