◾ অনলাইন ডেস্ক 


দিনাজপুরের হিলিতে ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মাছ কেটে আশগুলো ফেলে দেওয়া হলেও তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন তারা। আর এ আঁশ রপ্তানি করা হচ্ছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে।


বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হিলি মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নিজেদের পাশাপাশি অন্যান্য দোকান থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করছেন তারা। এরপর এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা মাছ কিনে তা দোকান থেকেই কেটে নিয়ে যান আর ফেলে দেওয়া হচ্ছে মাছের আঁশগুলো আর সেই আঁশ বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। হিলি মাছ বাজারে ছোট বড় মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫টির মতো মাছের দোকান রয়েছে। এ আঁশ রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। তৈরি হচ্ছে ওষুধের ফলসহ নানা কিছু। আবার দেশেও মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাছ ও মুরগীর খাদ্য।


হিলি বাজারের মাছ বিক্রেতা কাওসার হোসেন জানান, মাছের আঁশগুলো আগে ফেলে দিতাম যা পরিবেশ দূষিত করতো। এখন মাছের আঁশগুলোর চাহিদা থাকায় আঁশগুলো ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বিক্রি করি।


হিলি বাজারে আরেক মাছ বিক্রেতা জানান, আমরা প্রতিদিন ১ থেকে ২ কেজি করে মাছের আঁশ জড়ো করি যা মাসে ৩০ থেকে ৪০ কেজির মতো আঁশ বিক্রি করতে পারি। যা থেকে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এতে আমরা মাছ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারছি।


মাছের আঁশ ক্রেতা লিটন পারভেজ জানান,আগে সবাই মাছের আঁশ ফেলে দিতো। এখন আমরা কিনি বলে সবাই সংগ্রহ করে রাখে। আমি শুধু হিলি নয় দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ঘোড়াঘাট, বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাট, বিরামপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার মাছ বাজার থেকে এ আঁশ সংগ্রহ করে থাকি। এগুলো সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠাই। সেখান থেকে চীনে রফতানি করা হচ্ছে।এতে করে দেশের ও আমাদের নিজেদের আর্থিক উপকার হচ্ছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024