উখিয়া স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৩ কোটি ৭১ লক্ষ টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার দিবাগত রাতে এই অগ্নিকাণ্ডে কাপড়, গার্মেন্টস, ফার্মেসি, ক্রোকারিজ, মোবাইল, শুটকি, ফল ও পানের দোকানসহ অন্তত চল্লিশটি দোকান সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়নে সহযোগিতা করেছেন শাহী মদিনা ক্লথ স্টোরের মালিক মো. ইউছুফসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি ৭১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।


মো. ইউছুফ জানান, “আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে আমরা দোকানের কিছুই বাঁচাতে পারিনি। সবকিছু মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায়।


তিনি আরও বলেন, “পানের দোকানগুলোর ক্ষতি তুলনামূলক বেশি হয়েছে, কারণ তারা পাইকারি বিক্রেতা হিসেবে দোকানে স্টক মালামাল রেখেছিলেন।”


ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও আনুমানিক ক্ষতির হিসাব:


মো. ইউছুফ (শাহী মদিনা ক্লথ ষ্টোর) — ৪০ লক্ষ টাকা


আবুল কাশেম (আল্লাহর দান ক্লথ ষ্টোর) — ৩০ লক্ষ টাকা


ওসমান গনি সোহাগ (সোহাগ ক্রোকারিজ) — ২০ লক্ষ টাকা


মোহাম্মদ আলী (ল্যাপ তোষকের দোকান) — ১০ লক্ষ টাকা


আব্দুল মান্নান (মান্নান গার্মেন্টস) — ১৫ লক্ষ টাকা


বাহাদুর (গার্মেন্টস, ২টি দোকান) — ২০ লক্ষ টাকা


ডা. জব্বার ও ডা. আব্দু রহিম (দুটি ফার্মেসি) — প্রত্যেকে ১ কোটি টাকা


অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে রয়েছে পানের দোকান, ফলের দোকান, মোবাইল শপ, মুদির দোকান ও ভাড়া বাসায় যাদের সম্মিলিত ক্ষতি আনুমানিক ৬৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকারও বেশি।


সর্বমোট আনুমানিক ক্ষতি:

 ৩ কোটি ৭১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ( ৩,৭১,৫০,০০০)


ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চিত্র:

দোকানগুলো পুড়ে কালো ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া টিনের ছাদ ও পোড়া কাপড়ের গন্ধ এখনও ছড়িয়ে আছে বাতাসে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁদের পুড়ে যাওয়া দোকানের সামনে। স্থানীয় প্রশাসন ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


ব্যবসায়ীদের দাবি:

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানমালিকদের দাবি— সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াক। তাঁরা পুনর্বাসনের জন্য অনুদান ও ক্ষতিপূরণ চান, যাতে পুনরায় ব্যবসা চালু করা সম্ভব হয়।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024