লন্ডনে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আসাদ এর স্মরণে এক সভা আয়োজন করা হয়। স্থানীয় রমফোর্ড রোডের চাই নান রেস্তোরাঁয় ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।


অনুষ্ঠানে প্রবাসী প্রবীণ বাংলাদেশিরা শহীদ আসাদের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, শহীদ আসাদের ত্যাগ আজকের তরুণ সমাজ ভুলতে বসেছে। অপরদিকে গণতান্ত্রিক শাসনের অধীনে দেশ দীর্ঘ দিন চালিত হলেও দুঃস্থ সাধারণ কৃষক শ্রমিক দিনমজুর মানুষের দুঃখ গুছেনি।


স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, আজকের বাস্তবতায় আসাদ কেবল স্মরণীয়ই নন, প্রয়োজনীয়ও বটে। আসুন বীর আসাদকে স্মরণ করি এবং তার স্বপ্নকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরি।


২০ জানুয়ারি (বুধবার) শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে জীবন দেন ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।


শহীদ আসাদ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন।


আসাদ শহীদ হওয়ার পর তিনদিনের শোক পালন শেষে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারাবাংলার রাজপথে। সংঘটিত হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। পতন ঘটে আইয়ুব খানের।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024