টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১টি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল। সোমবার ( জুন) দুপুরে মাছ ধরার সময় স্থানীয় জেলেদের জালে প্রথমে একটি ধাতব বস্তু ধরা পড়ে।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে এসে অভিযান চালিয়ে আরও ১০টি মর্টার শেল উদ্ধার করে। উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটে ঘটেছে ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের যমুনা নদী সংলগ্ন চর এলাকায়

স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে নদীর তলদেশে অস্বাভাবিক ধাতব বস্তু দেখতে পান। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় চেয়ারম্যান পুলিশকে অবহিত করা হয়।

পরবর্তীতে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের সহায়তায় সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অনুসন্ধান চালিয়ে মোট ১১টি মর্টার শেল উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলগুলো পুরনো মরিচা ধরা অবস্থায় ছিল। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, এগুলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ অথবা পরবর্তী সময়ের কোনো সামরিক মহড়ার সময় নদীতে পড়ে থাকতে পারে।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান:“মর্টার শেলগুলো এখনো অবিস্ফোরিত। উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিশেষ টিম তা নিষ্ক্রিয় করবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,“ঘটনার পর থেকে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। তবে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

শেল উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। নদীপাড়ের কয়েকটি গ্রামে লোকজন নদীমুখো যাতায়াত কমিয়ে দেয়। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। উদ্ধারকৃত শেলগুলো সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে এবং সেগুলো নির্দিষ্ট স্থানে নিষ্ক্রিয় করার  কাজ শুরু হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, পুরো নদী এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পুলিশ সেনা টহল জারি থাকবে।

এই ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিলেও প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে বড় কোনো দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী বা পুরনো সামরিক অঞ্চলগুলোতে ধরনের অস্ত্র আরও থাকতে পারে, তাই ভবিষ্যতে এরকম উদ্ধার অভিযান বাড়ানো প্রয়োজন।

 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024