ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখলের ৭৭ বছর পূর্ণ হলো ১৫ মে। সাধারণত দিনটিকে 'নাকাবা বা বিপর্যয় দিবস' হিসেবে পালন করে ফিলিস্তিনিরা। ১৯৪৮ সালের এই দিনে সাত লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু ৭৭ বছর পরও সেই নাকাবা আজও শেষ হয়নি।


২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর উল্টো গাজা আরও ভয়াবহ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৮ হাজারই শিশু। গাজা ইউরোপিয়ান হাসপাতালসহ অসংখ্য চিকিৎসাকেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে। তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে পাঁচ লাখ মানুষ।


জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। অনেক শিশু ও নারী আটক রয়েছে, যাদের সঙ্গে স্বজনদের দেখা করার সুযোগ নেই। মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় ৯,৫০০ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি, যাদের মধ্যে ৩৫০ শিশু ও ২১ নারী।


ইসরায়েলি ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পাথর হাতে ফিলিস্তিনিরা এখনও তাদের স্বাধীনতার দাবিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। আর ইসরায়েল তাদের জবাব দিচ্ছে মিসাইল আর ট্যাংক দিয়ে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা এই সংকটকে আরও গভীর করেছে। আর বরাবরের মতো নিন্দা জানিয়েই নিজের ভূমিকা শেষ করেছে জাতিসংঘ।


৭৭ বছর ধরে নাকাবার সেই পুরনো ক্ষত নতুন করে রক্তাক্ত হচ্ছে গাজার বুকে। নিজভূমে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা জানে না কবে শেষ হবে তাদের এই বিপর্যয়।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024