|
Date: 2025-05-14 15:30:00 |
রাজশাহীর বাঘায় সাদেক হোসেন (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার আরিফপুর গ্রাম থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেন বাঘা থানা পুলিশ। নিহত সাদেক হোসেন উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের আরিফপুর গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদেক হোসেন গরু ও ছাগলের ব্যবসা করতেন। তার পরিবারে দুই স্ত্রী রয়েছেন। প্রথম স্ত্রী আশেমা বেগম মানসিক প্রতিবন্ধী তার ঘরে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাকে রেখে উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে নাদেরা বেগমকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই চন্ডিপুরে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথেই বসাবাস করেন। প্রথম স্ত্রীকে ভরনপোষণ না দেওয়াই পাশের গ্রামে তার বাবার বাড়িতে থাকেন। এজন্য সাদেক হোসেনের আরিফপুরের নিজবাড়িটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিলো। তিনি মাঝে মধ্যে তার পরিত্যক্ত বা আগের বাড়িটিতে আসতেন। ওই দিন কখন সে বাড়িতে আসচ্ছে তা কেই দেখননি।
সাদেক হোসেনের বাড়ির পাশে তারই ভাই কামালের বাড়ি। রাতে পুলিশ কামালের বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী চায়নাও সন্তান চন্দনকে বাঘা থানায় নিয়ে যাই। জানা যায় সেই রাতে কামাল তার নিজ বাড়িতে ছিলেন না কোথায় আছেন তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেনা। পরে সাদেকের বোন সফেলাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খন্দকার আলালউদ্দিন জানান, আমি বিশেষ কাজে বাঘাতে থাকাই আমার সাথে দেখা করার জন্য আরিফপুরে মোড়ে আলতাবের দোকানে তিন থেকে চারজন অপেক্ষা করেছিল। পরে আমি যখন তাদের সাথে দেখা করি সেই সময় রাস্তার দক্ষিণ পাশে সাদেকের বাড়ির পাশে আম বাগানের ভিতর লাইট জ্বলে। পরে ডাকাডাকি করে কোন সারা শব্দ না পেয়ে আমরা সেই আলোর কাছাকাছি চলে যাই। পরে লক্ষ করি রক্তাক্ত অবস্থায় সাদেকের মরদেহ পড়ে আছে। পরে এলাকাবাসীকে ডাকাডাকি করে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করা হয়। পরে তাৎক্ষণিক বিষয়ে উপজেলা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাই।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
© Deshchitro 2024