বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভিসি বিরোধী আন্দোলন চলমান। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে প্রতিবাদী মশাল মিছিল করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষক এবং ১৮টি  বিভাগ।



রবিবার (১১ মে) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে এই মিছিলটি শুরু হয়। পরবর্তীতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক এবং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পদক্ষিণ করে আবার গ্রাউন্ড ফ্লোরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা "এক দফা এক দাবি ভিসি তুই কবে যাবি", "বারে বারে মামলা এবার গদি সামলা", "ক্যাম্পাস আমার গোল্লায় যায়, ভিসি কেন ঢাকায় রয়", "মামলাবাজ ভিসির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না", "স্বৈরাচার ভিসি আর না আর না", "এক দুই তিন চার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়" স্লোগান দিতে থাকে।



আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের কাছে আর নিরাপদ নয়। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। আমরা আজকে এই প্রতিবাদী মিছিল থেকে বলতে চাই, আপনার (উপাচার্যের) যদি লজ্জাশরম থেকে থাকে তাহলে চলে যান। শিক্ষার্থীরা আপনাকে আর চায় না।



আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস সুভ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভিসির পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করে আসছি। উপাচার্য অনতিবিলম্বে যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।



আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আগামীকাল আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের দাবি না মানে তাহলে আমরা অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আমরা দক্ষিণবঙ্গ অচল করার মতো কার্যক্রমে যেতে বাধ্য হবো।



সার্বিক বিষয় জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেননি।



উল্লেখ্য, উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাডেমিক শাটডাউন ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (১১ মে) দুপুরে শিক্ষক সমাজের উদ্দেশে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে তারা আগামীকাল সোমবার (১২ মে) থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রাখার আহ্বান জানান। পরীক্ষা ও পরিবহন সেবাসহ অন্যান্য জরুরি সেবা শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। ইতিমধ্যে গত (৬ মে) প্রশাসনিক সকল কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা, যা এখনো পর্যন্ত একই অবস্থায় আছে।




প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024