আবুবকর সিদ্দিক, খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ

খুলনা জেলার কয়রা থানায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে মানহানি করা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জোড়শিং হড্ডা (ফুলতলা) গ্রামের মৃত নওয়াব আলী গাজীর পুত্র মোঃ ছাইফুল্লাহ গাজী। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন আমি বৈধভাবে পাস পারমিট লইয়া সুন্দরবনে মাছ ধরে ও কাঁকড়া আহরন করে পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার নামে ইতিপূর্বে কোন মালী মোকদ্দমা নাই। কিন্তু গত ইং ০৪/০৫/২০২৫ তারিখে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় “সুন্দরবনে বেড়ে চলেছে হরিন শিকারিদের দৌরাত্ত্ব” আমার নামে মিথ্যা উক্তিতে যে সংবাদ প্রচারিত হইয়াছে তাহা আজগুবি, মিথ্যা, বানোয়াট ও অসত্য হইতেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যেপ্রনদিত প্রকাশিত সংবাদের আমি নিন্দা জানাচ্ছি।


সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন আমি বৈধভাবে মাছ শিকার ও কাঁকড়া আহরন করে সুস্থভাবে চলায় এলাকার অনেকে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে সন্মানহানি ও সমাজে হেয় প্রতপন্ন করার জন্য ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার কয়রা প্রতিনিধি আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেন এবং তাহা ০৪/০৫/২০২৫ তারিখে পত্রিকার ৮ম পেজে ছাপানো হয়। এলাকার সামান্য কোন্দলের কারণে কিছু আসাধু সাংবাদিক আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য আমাকে জড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রেরণ করে সংবাদ প্রকাশ করে। সেই সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ করায় আমি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে সবিনয় অনুরধ করেছি বর্তমানে কিছু অসাধু সাংবাদিক মত না হয়ে সত্য ও বস্তুনিস্ত সংবাদ পরিবেশন করবেন। আমি কখনো হরিন শিকারও করিনা আর হরিনের মাংশ বিক্রয়ের তো প্রশ্নই আসেনা। আমি সাদাসিধে মানুষ, দিন আনি দিন খায়। আমি আমার পরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে বাচতে চাই।  


এ সংবাদের প্রতিবাদে তিনি আরও জানান আমি আশা করি দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকা একটি স্বনামধন্য পত্রিকা  তাই ভবিষ্যতে সংবাদ পরিবেশনে আরও সতর্ক হবেন। আমি ন্যায় বিচার চাই।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024