
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নসহ সমগ্র ঘাটাইলেই রাত শুরু হলেই যেন উৎসব শুরু হয় মাটি খেকোদের।
বিশেষ করে উপজেলার পূর্বাঞ্চলীয় ইউনিয়ন রসুলপুর, লক্ষিন্দর, ধলাপাড়া, সাগদিঘি ও দেওপাড়ায় রাত হলেই শুরু হয় মাটিকাটার মহোৎসব। এ উৎসব বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান চলমান থাকলেও থামছেই না মাটিকাটা। কোন অদৃশ্য শক্তিতে রাত হলেই চলে মাটি কাটার মহোৎসব প্রশ্ন এখন সাধারণ জনগণের মনে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, মাটি খেকো ভূমিদস্যুদের কয়েকটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের সমন্বয়ে পূর্ব ঘাটাইলের টিলা,পাহাড়ের লালমাটি কেটে রাতের আঁধারে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করেন রাজনৈতিক পদ পদবীধারী প্রভাবশালীরা। কৃষি জমির টপসয়েল কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় প্রতি গাড়ি মাটি ১০হাজার থেকে ১১ হাজার ৫'শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
পেচারআটা এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল রাতের আধারে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করে আসছে। প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে ১০চাকার ভাড়ি ড্রামট্রাকে করে মাটি নিয়ে গেলেও তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মিলে না।
হাজী মার্কেট এলাকার আব্দুল মজিদ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ পেচারআটা বাজারের পূর্ব পাশে আরিফ হোসেনের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করছে প্রভাবশালী মহল। ১০ চাকার ভাড়ি ড্রাম ট্রাক চলাচলে রাস্তার বেহাল দশার কারণে এলাকাবাসী বাঁধা দিলে স্থানীয় মসজিদে ১০ হাজার টাকা সাহায্য দেওয়ার কথা বলে সমাজবাসীকে ম্যানেজ করে আবারও মাটিকাটা শুরু করে রসুলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও আওয়ামিলীগ নেতা খোকন। কিন্তু এখন অবধি কথা দেয়া মসজিদের সে ১০ হাজার টাকা এখনো দেয়নি ওই মাটি খেকোরা।
এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবি, এলাকার রাস্তাঘাট রক্ষার্থে প্রশাসন যেন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে ।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, মাটি কাটার বিষয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।