রাজধানীর রামপুরায় মাদ্রাসা জমিন নির্মাণ কাজে বাধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বুধবার ৩০ এপ্রিল মাদ্রাসা সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। এসময় তারা দাবি করেন অত্যনন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে, জামিআ ইসলামিয়া আজমিয়া দারুল উলুম রামাপুরা (বনশ্রী) মাদরাসার নামে বিগত ০৮.০২.২১ ও ১৩.১২.২১ ইং তারিখে দু'টি দলীলের মাধ্যমে এক টুকরা জমি খরিদ করা হয়। জমির পরিমাণ ৬৫২ অযুতাংশ। জমিটি খরিদ করার পর কর্তৃপক্ষ মাদরাসার নামে নামজারি ও (হাল নাগাদ) খাজনা পরিশোধ করে। উক্ত জমির প্রতিবেশী জনাব মজিবর গংদের একটি ঘরের ৫/৭ ফিট অংশ মাদরাসা জমির সীমানায় বিদ্যমান থাকায় এবং জমিতে নির্মান কাজ করার প্রয়োজনে তাদেরকে বারংবার সেটি সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা তা সরিয়ে নেয়ার পরিবর্তে পেশি শক্তি ব্যবহার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে উক্ত জমিতে নির্মাণ কাজে বাধা দেয় এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে। সর্বশেষ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যখন ২৯.০৪.২৫ ইং তারিখে জমিতে নির্মাণ কাজ করতে যায়, তখন মজিবর গং পূর্বের ন্যায় নারী পুরুষ একযোগে লাঠি-সোটা এবং ইট-পাটকেল নিয়ে নির্মান শ্রমিকের উপর হামলা চালায় এবং তথায় একটি নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে।

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন সিটি জরিপ অনুযায়ী মাদরাসার নামে উক্ত জমির সমস্ত কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের হাতে থাকাসহ ২০২৫ সাল পর্যন্ত জমির খাজনাদীও পরিশোধ করা হয়েছে। এতদসত্ত্বেও মজিবর গং বৈধ কোন কাগজপত্র ছাড়াই জমিটি দখল করে নেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে বারবার। জমিটি যে মাদরাসার নামে ক্রয়কৃত, সে ব্যাপারে এলাকাবাসীও অবগত রয়েছে।



এছাড়া ২৯.০৪.২৫ তারিখে নির্মাণ শ্রমিকের উপর তাদের অমানবিক হামলার গতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা এবং ঘটনাকে নিজেদের অনুকুলে নেয়ার জন্য থানায় গিয়ে মিথ্যা মামলার আশ্রয় নেয় এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে লাঠিসোটা নিয়ে হত্যা চেষ্টা চালানোর মামলা রুজু করে অভিযোগ করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। 



এসময়, প্রশাসন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের যথার্থ হস্তক্ষেপ কামনা করে কোরআন হাদীস পড়ুয়া ছাত্র সমাজের স্বার্থে ও জনগণের অর্থে ক্রয়কৃত জমিতে মাদরাসা যেন দ্রুত ঘর নির্মান করে ছাত্রদের আবাসন কষ্ট লাঘব করতে সক্ষম হয়, সে ব্যাপাওে সকলের সদয় দৃষ্টি ও কামনা করছি করেন তারা।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024