|
Date: 2025-02-04 23:42:08 |
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার তিন শতাধিক লকারের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যেখানে বর্তমান ও সাবেক ঊর্ধ্বতন ভিআইপি ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকার রয়েছে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদালত থেকে সাবেক ও বর্তমান ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকার খোলার অনুমতিও পেয়েছে সংস্থাটি। চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খুলতে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান বিভাগের প্রধান দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার নামীয় বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখার লকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে খোলার অনুমতি পেতে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দাখিলকৃত কাগজপত্রসহ পর্যালোচনা করে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করে দুদকের অপর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, আসলে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন ডেপুটি গভর্নরের নাম আসছে। এরই মধ্যে এস কে সুর চৌধুরি গোপন লকার খুলে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। ওই অভিযানকালে দুদকের চোখে তিন শতাধিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের নামে লকারের তথ্য মিলেছে। যার মধ্যে রিজার্ভ চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত ব্যক্তিদের নাম মিলেছিল। যে কারণেই দুদক মনে করছে তল্লাশি অভিযান চালানো দরকার। আমাদের ধারণা যথাযথ তল্লাশি করা গেলে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে, যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে নাই।
© Deshchitro 2024