|
Date: 2024-12-13 08:03:58 |
নেত্রকোণা সদর উপজেলার তারাকুড়ি গ্রামে বাড়ির আঙিনায় পেয়াজ,রসুন,মরিচ,ডাটা চাষ করা হচ্ছে। তারাকুড়ি গ্রামের হারুন অর রশিদ তার বাড়ির আঙিনায় এ ফসল আবাদ কেরেছেন।
তিনি জানান আঙিনা পতিত পরে আছে তাই এ উদ্যোগ নিলাম।শুধু পেয়াজ, রসুন,মরিচ এবং ডাটা চাষ করে তিনি থেমে যান নি।তাঁর বাড়ির সামনে পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুরের পাড়ে রোপন করেছেন বিভিন্ন ফলদ গাছে চারা। এতে করে পুকুর পাড়ের মাঠির অবক্ষয় রোধ করা ছাড়া মৌসুমী ফলের ঘাটতিও পুরন হবে।
তিনি জানান অকারণে জায়গা পতিত রেখে কোন লাছ নেই।আমার বাড়ির আঙিনায় চাষ করা পেয়াজ,রসুন,মরিচ বা অন্যান্য সবজি দিয়ে আমার সংসার চলে যায়! এ গুলো আমার আর কিনতে হয়না
আমরা যদি হারুন অর রশিদের মত যার যতটুকু পতিত জায়গা বা জমি আছে তাতে পেয়াজ,রসুন,মরিচ,ডাটা, ঢেরস ইত্যাদি সব্জি চাষ করি তাহলে আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা পুরক করে অতিরিক্ত যেগুলো থাকবে তা বাজারে বিক্রি করে অন্যের চাহিদাও দেশীয় সব্জি দিয়ে পুরন করা যাবে।
নিজের সম্পদ দিয়ে চাহিদা পুরন করতে পারলে অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হবে না।বিশেষ পেয়াজ রসুন চাষ বৃদ্ধি করলে একটি পেয়াজও ভারত বা অন্য কোন দেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। তার জন্য সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে যাতে করে দেশের এক ইঞ্চি জমিও পতিত না থাকে এবং পাশাপাশি কৃষি কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদির মূল্য কমানো এবং কৃষি পন্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা তাহলে কৃষক কৃষি কাজ করতে উৎসাহিত হবে।
পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত যদি পেয়াজ রসুন চাষ করে নিজের দেশের চাহিদা পুরন করে অন্য দেশে রফতানি করতে পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না। আসুন সবাই নিজের পতিত জমি চাষ করে দেশের চাহিদা পুরন করি।তাহলে আমরা সকল দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পন্ন হতে পারবো।
© Deshchitro 2024