কক্সবাজার শহরের লাবনী পয়েন্টে এবার ছিনতাইয়ের শিকার হলেন একজন স্কুল শিক্ষিকা। অভিনব কায়দায় ছিনতাইকারীরা উক্ত স্কুল শিক্ষিকার ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ৪ আনা ্ওজনের কানের দোল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ৯ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করার চেস্টা করছেন বলে জানান।


কক্সবাজার উত্তরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কৃষ্ণা দাশ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে উত্তরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি জেলা কারাগারের এক কর্মকর্তার বাচ্চাদের টিউশনী পড়ায়। সে অনুযায়ী ৯ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে আমি টিউশনী শেষ করে জেলা কারাগারের ক্যান্টেইনের সামনে আসলে একটি সিএনজি থেকে চালক আমাকে তার গাড়ীতে উঠতে বলে। তখন আমি দেখতে পাই সেখানে আগে থেকে উক্ত সিএনজিতে পেছনের সিটে একজন এবং গাড়ীর সামনের সিটে চালকের পাশে একজন বসে আছে। তারা আমাকে খুব ভাল ব্যবহার করে গাড়ীতে উঠতে বলে আমার গন্তব্যস্থল শহরের ঘোনারপাড়ায় পৌছে দেবে বলে জানান। পরে ছিনতাইকারীরা শহরের লাবনী পয়েন্টে আসলে গাড়ী জোরে ব্রেক করে সামনের সিটের লোকটি নেমে একটি ছোট ব্যাগ কুড়িয়ে নেয়। সেই ব্যাগ থেকে একটি হস্তলেখা কাগজ ও একটি স্বর্ণের বার সাদৃশ্য সোনালী রঙ্গের শক্ত ধাতব বস্তু বের করে আমাকে উক্ত সোনালী রঙ্গের ধাতব বস্তুটি ৫ ভরী ওজনের স্বর্ণ দাবী করে আমাকে কিনতে বলে। আমি সেটা আসল র্স্বণ নয় মর্মে কথাবলার সময় তারা ৩ জনেই জোর করে সেই ধাবত বস্তুটি আমার হাতে দিয়ে আমার গলায় থাকা ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন এবং ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাকে সামনের বাহারছড়া জইল্যার দোকানের সামনে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমি কোন মতে জ্ঞান ফিরে আসলে স্বামী দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকার ব্যবস্থাপক ও স্টাফ রিপোর্টার বিজয় কুমার ধরকে খবর দিলে তিনি আমাকে উদ্ধার করে। পরে সদর মডেল থানায় গেলে বিষয়টি খোলে বললে তারা তাৎক্ষনিক এস আই সেলিম সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যপারে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


এদিকে উক্ত ঘটনার পরে এখনো মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে স্কুল শিক্ষিকা কৃষ্ণা দাশ।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024