“মিডওয়াইফস্ একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সমাধান।” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৫ মে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস পালন করেছে হোপ ফাউন্ডেশন।

রবিবার সকালে হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও হোপ মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রিন্সিপাল শারমিন নেশা’র সঞ্চালনায় হোপ ফাউন্ডেশন হাসপাতালের আঙ্গিনায় আলোচনা সভা পরে মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীদের নিয়ে র‍্যালী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে এই দিবসটি পালিত হয়।

মিডওয়াইফারি দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রিনা। হোপ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও চীফ সার্জন ডাক্তার নৃন্ময় বিশ্বাস,ট্রেজারার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র ম্যানেজার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

২০১০ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন যে, ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ তৈরি করে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমাবে। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ২০১২ সালে কক্সবাজারের কৃতি সন্তান ডাক্তার ইফতিখার মাহমুদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে হোপ মিডওয়াইফারি ইন্সটিটিউট স্থাপন করেন। বাংলাদেশে এই শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন থেকেই এমনকি চট্টগ্রাম বিভাগের প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে ‘হোপ মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউট’ এই মিডওয়াইফারি শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে । এই প্রতিষ্ঠান থেকে তিন বছরের মিডওয়াইফারি ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ও নিরাপদ ডেলিভারি সেবা এবং নবজাতকের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করছে হোপ ফাউন্ডেশন। এতে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারের মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সক্ষম হবে বলে আশা করছেন হোপ ফাউন্ডেশন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024