রান্নার জন্য গৃহিণীদের কাছে পাটখড়ির বেশ কদর।জ্বালানি হিসাবে পাটখড়ির চাহিদা থাকায় প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে পাটখড়ি কিনতে দেওয়ানগঞ্জ বাজারে আসছেন ক্রেতা।জ্বালানি ছাড়াও পানের বরজে বাঁশের শলার বিকল্প হিসেবে পাটখড়ি ব্যবহার হয়ে থাকে।তাই পানের বরজের জন্যও  পাটখড়ি কিনতে দুরদুরান্ত থেকে আসেন পান চাষীরা।


প্রতিমন পাটখড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭শত থেকে ৮ শত  টাকা দরে।প্রতিটি ছোট আটি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। ১০ আটির প্রতিটি বোঝা বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭শত টাকায়।গৃহস্থের চাহিদা অনুযায়ী বিক্রেতারা বিক্রি  করছেন পাটখড়ি। দাম ও চাহিদা বেশী থাকায় লাভবান হচ্ছেন তারা।


ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঐতিহ্যবাহী দেওয়ানগঞ্জ বাজারে বসেছে এই পাটখড়ির হাট।প্রতিদিন বিকালে বসে এই   হাট। আর তাই প্রতিদিন এই বাজার থেকে পাটখড়ি কিনছেন গৃহস্থরা। চাহিদা বেশি থাকায় আগের তুলনায় পাটখড়ির দামও বেড়ে গেছে।হাতের কাছে পাটখড়ি পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। 


প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে উৎপাদিত পাটখড়ি দেওয়ানগঞ্জ বাজারে কৃষকরা নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য।পাটখড়ি বিক্রি হচ্ছে ভালো,ভীড় বাড়ছে ক্রেতাদের। দাম বেশী পেয়ে খুশী বিক্রেতা। পাটখড়ি বিক্রি করে লাভবান তারা। হাতের কাছে পাটখড়ি পেয়ে খুশী ক্রেতারা। প্রতিদিন বিকালে বসে পাটখড়ির এই বাজার। ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার পাটখড়ি বিক্রি হয় প্রতিদিন।


সরেজমিন দেখা গেছে,স্থানীয়  দেওয়ানগঞ্জ বাজারে বিক্রি হচ্ছে পাটখড়ি।মধ্যবাজারে বিশাল জায়গা জুড়ে পাটখড়ির ছোট-বড় আটি।প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন বিক্রেতা পাটখড়ি নিয়ে আসেন বাজারে।চাহিদা বেশি থাকায় আগের তুলনায় পাটখড়ির দামও বেড়ে গেছে। প্রতিদিন পাটখড়ি ক্রয় করতে ট্রলি ও ভ্যান  নিয়ে দুর-দুরান্ত থেকে আসছেন লোকজন। 


উপজেলার খারুয়া,মহেষকুড়া,বিরাশী  নরেন্দ্রপুর, হাটশিরা,কুর্শা,কাকুরিয়া,কয়ারপুর,রাজাপুর,বেলতৈলসহ আশেপাশের লোকজন আসছেন পাটখড়ি ক্রয় করতে।


বিরাশী গ্রামের আঃ বারেক,তাহের উদ্দিন, আঃ হান্নান,হাটশিরা গ্রামের শাহজাহান, আঃ খালেক এসেছেন স্থানীয় দেওয়ানগঞ্জ বাজারে পাটখড়ি ক্রয় করতে।কথা হয় তাদের সাথে।তারা জানান, প্রতিদিন দেওয়ানগঞ্জ বাজারে  পাটখড়ি বিক্রি হয়।তাই কিনতে এসেছেন।  


হাটশিরা গ্রামের শাহজাহান বলেন,আমি প্রতিদিন দেওয়ানগঞ্জ বাজারে পাটখড়ি আনি বেচার জন্য।প্রতিটি ছোট আটি বেঁচি ৩৫-৪০ টাকায়।১০ আটির বোঝা বেঁচি ৫ থেকে ৬ শত টাকা।


বিরাশী গ্রামের আঃ বারেক বলেন, শোলার (পাটখড়ি)দাম বেশী। তাই শোলা বেঁচতাছি।মোটামুটি ভালা দামে বেঁচি।প্রতিদিন ৫ -৬ শত টেহার শোলা বেঁচতারি।লাভের টেহায় সংসারও চলে ভালা। ছয় মাসের জন্য এ ব্যবসা চলবো অগ্রাহায়ণ মাস পর্যন্ত। 

 

স্থানীয় খারুয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান  ও দেওয়ানগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন,দেওয়ানগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার।এই বাজারে প্রতিদিন বিকালে বসে পাটখড়ির হাট।স্বল্পকালীন পাটখড়ির এই ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন বিক্রেতারা।আশপাশের মধ্যে একমাত্র পাটখড়ি বিক্রির হাট এটি।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023