ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাসের ওপর ইসরায়েল যুদ্ধ অব্যাহত রাখার কারণে ‘উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন।’ কারণ সেখানে ২৩ জানুয়ারি থেকে কোনো মানবিক গোষ্ঠী সাহায্য পাঠাতে পারেনি।


২৭ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে এসব তথ্য জানিয়েছে।


গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক জরুরি অবস্থা দেখা দেয়ার পাশাপাশি সেখানে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে রীতিমতো সংগ্রাম করছে ডব্লিউএফপি। অন্যান্য সংস্থাগুলোও হাজার হাজার ফিলিস্তিনির কাছে সাহায্য পৌঁছনোর আহ্বান জানিয়েছে।


ডব্লিউএফপির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কার্ল স্কাউ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, যদি পরিস্থিতির কিছুই পরিবর্তন না হয় তবে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন।


ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে বাকি অঞ্চলগুলোয় প্রবেশ করতে দিচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সাহায্য প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়ে সদস্যদের যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসেবে বেসামরিক নাগরিকদের অনাহারে না রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।


জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ডেপুটি মহাপরিচালক মৌরিজিও মার্টিনা সতর্ক করে বলেছেন, গাজার প্রায় ৯৭ শতাংশ ভূগর্ভস্থ পানি মানুষের ব্যবহারের জন্য অনুপযুক্ত এবং কৃষি উৎপাদনে ধস নামতে শুরু করেছে।


জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মঙ্গলবার বলেছেন, সীমান্তে সাহায্য প্রস্তুত এবং প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।


তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডব্লিউএফপির সহকর্মীরাও আমাদের জানান, গাজা সীমান্তে তাদের ত্রাণবাহী গাড়ি প্রবেশের অপেক্ষা করছে। কিছু শর্ত সাপেক্ষে তারা ২২ লাখ লোককে খাদ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।


তিনি বলেন, ১৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য বহনকারী প্রায় ১ হাজার ট্রাক মিশরে রয়েছে, তারা শুধু প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024