নোয়াখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত যুবদল নেতার স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুষ্প বেগম ঘটনার ৫ বছর পর ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাদী করে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।


রোববার (১৬ অক্টোবর) সকালে তিনি নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার এ আবেদন করেন।


মামলার আবেদনে ওই যুবদল নেতাকে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ সালের ১৫ (২) (৩) ধারায় নোয়াখালীর তৎকালীন পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ, বেগমগঞ্জের সার্কেলের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান সাজিদ ও এসআই মো. জসিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়।


আদালত সূত্রে জানা যায়, দুপুর ২ ঘটিকার পর আদালত আবেদনের বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দিবেন। বাদীর পক্ষ নিয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন— সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ইলিয়াস।


উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ হুদা মোহাম্মদ আলম (৩২) নামে ওই যুবদল নেতার মৃত্যু হয়। সেসময় পুলিশ দাবি করেছিল, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং ঘটনাস্থল থেকে এক পিস্তল, এক পাইপগান, তিনটি ছোরা, পাঁচটি রড ও গ্রিল কাটার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।


নিহত মো. আলম বেগমগঞ্জের ধীতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এবং আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।


সেসময় পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, বুধবার (২৩ আগস্ট ২০১৭) সন্ধ্যায়  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামি ‘ডাকাত আলমকে’ গ্রেফতার করে তারা। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে রাতে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দাসপাড়া গ্রামের দাসেগো বাগানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় আলমের সহযোগীরা পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ‘ডাকাত’ আলম। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র জব্দ করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


নিহতের পরিবার সেসময় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, ২২ আগস্ট ২০১৭ তারিখ  সকালে সাদা পোশাকে পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় এবং পরদিন বুধবার রাতে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে।


তৎকালীন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান সাজিদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘নিহত ডাকাত আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতি মামলা ছিল। তিনি সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024