|
Date: 2023-12-29 03:49:01 |
বাঙালীর খাবারের তালিকায় পুডিং বেশ ভালোমতোই থাকে। তবে এই সুস্বাদু খাবারের উৎপত্তি এই অঞ্চলে নয়, ভারতীয় উপমহাদেশে পুডিং তৈরির প্রণালী এসেছে ব্রিটিশদের হাত ধরে।
অতীত ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, মধ্যযুগে এই বিশেষ খাবার তৈরি করেন পশ্চিম ইউরোপের গৃহিণীরা। এর সত্যতা মিলেছে ১৬১৫ সালে প্রকাশিত “দ্য ইংলিশ হাউজওয়াইফ” নামে গার্ভাস মারখামের বইয়ে। বইতে তিন ধরণের পুডিং তৈরির প্রণালী বর্ণনা করা হয়েছিলো- সেদ্ধ পুডিং, রুটি পুডিং ও ভাতের পুডিং।
১৮৩৭ সালের যুক্তরাজ্যের আলফ্রেড বার্ড কর্নফ্লাওয়ার সহযোগে যে প্রণালী ব্যবহার করে পুডিং তৈরি করেন। সেটিকেই প্রথম বিক্রয়যোগ্য পুডিং তৈরির প্রণালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১৮৬১ সালে প্রকাশিত ইসাবেলা বিটনের লেখা, “দ্য বুক অব হাইজহোল্ড ম্যানেজমেন্ট” এ পুডিঙ উপকরন হিসেবে দুধ, চিনি কিংবা ফলমূলের পাশাপাশি গরুর চর্বির উল্লেখ পাওয়া যায়।
উনিশ শতকের শেষে এবং বিংশ শতকের গোড়ায় বইয়ের এই রেসিপি এবং বার্ডের কাষ্টার্ড পাউডারের ব্যবহার শুরু করে এই খাবারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকের পুডিং। উৎসবে যদি পুডিং না থাকে, তাহলে উৎসবের আসল মজা পাওয়া যায় না।
নাম: এস. এম. এম. মুসাব্বির উদ্দিন
শিক্ষার্থী
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ
সেশন: ২০২০-২১
© Deshchitro 2024