|
Date: 2023-12-27 07:17:01 |
কক্সবাজারে শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র নেই বললেই চলে। তবে গণপূর্ত উদ্যানে এসে শিশুরা যে যার মত খেলে ভালো সময় পার করে। পাশাপাশি থাকে তাদের অভিভাবক সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। কিন্তু এই উদ্যানের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। যা বিনোদনের জন্য অনুপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
অযত্ন-অবহেলায় শ্রীহীন হয়ে পড়েছে সদ্যস নির্মিত পার্ক হিসেবে পরিচিত গণপূর্ত উদ্যান। সবুজ ঘাসের উপর পড়ে আছে খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্য। ময়লা-আবর্জনায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খেলছে শিশুরা। তাছাড়া ফুল গাছের ঝুপঝাড়ে পড়ে আছে কাঁচের ভাঙা অংশ। যার কারণে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দর্শনার্থীদের বসার জায়গার মাঝে দেখা যায় ময়লার ভাগাড়। যথাযথ তদারকির অভাবে উদ্যানটির সৌন্দর্য দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
নানা শ্রেণির মানুষ উদ্যানের চারপাশে হাঁটেন। বিকেলে অসংখ্য দর্শনার্থী ঘুরতে আসেন। নানা কারণে প্রতিদিনই পার্কটি অপরিষ্কার হয়ে যায়। স্থানীয় ও পর্যটকরা বলছেন – “সুন্দর এই পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যেন কেউ নেই।
বেশ কয়েকজন দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এরুপ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখে অসন্তুষ্ট। তারা বলেন – ” সবখানেই দেখছি ময়লা পড়ে আছে। বিষয়টা খুবই লজ্জাজনক এবং দুঃখজনক। এখানে শিশুরা খেলে। এই ধরনের ময়লা আবর্জনাযুক্ত পরিবেশ শিশুদের জন্য কখনোই কাম্য নয়। আমরাও ঘুরতে এসেছি। এরকম অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ মেনে নেওয়া কষ্টকর। আসার পর থেকে কোনো গার্ড বা কাউকে দেখিনি তদারকিতে। আমার মতে, এখানে পর্যাপ্ত মনিটরিং দরকার। মনিটরিং থাকলে এই ময়লা- আবর্জনা হওয়া এড়ানো যাবে। ”
এক পর্যটক বলেন – ” আমি সৌদি প্রবাসী। কক্সবাজারের মতো এরকম একটি পর্যটন এলাকায় এরুপ ময়লা -আবর্জনা আশা করা যায় না। ময়লা- আবর্জনা যাই হোক সবসময় পরিষ্কার করা দরকার। পর্যটকরা একটু স্বস্তির জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে আসে। আমি এই উদ্যানের কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যেন এই উদ্যান পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। ”
অন্যদিকে কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ জাহান বলেন – “উদ্যানের দেখাশোনার জন্য একজন গার্ড রয়েছে। ডাস্টবিন থাকার পরও দর্শনার্থীরা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে। নির্দেশনা মানে না। আমরা ময়লা হলে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। ”
ডাস্টবিন থাকার পরও যত্রতত্র পড়ে আছে ময়লা আবর্জনা। বিকাল ৩ টা থেকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব শুরু হলেও সরজমিনে গিয়ে সময়মতো দেখা যায় নি উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বরত কাউকে। প্রায় বেশ কিছুক্ষণ পর দায়িত্বরত একজনের দেখা মিললে তিনি বলেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান – ” সবসময় টহল দিয়ে দিয়ে দশনার্থীদের ময়লা ফেলতে নিষেধ করি। তবুও তারা কথা না শুনে ময়লা ফেলে। ডাস্টবিনগুলোর ময়লা এক বা দুই মাস পরে এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ”
এরূপ ময়লা আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা না হলে পর্যটক ও স্থানীয়দের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হবে এই গণপূর্ত উদ্যানটি। যা কক্সবাজারের জন্য শোভনীয় নয়। এমনটি বলছেন সচেতন মহল।
দ্রুততম সময়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে গণপূর্ত উদ্যানটিতে বিনোদন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান স্থানীয় ও পর্যটকরা।
© Deshchitro 2024