কক্সবাজারে ইজতেমায় লাখো মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেছেন। শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ঝিলংজা ইউনিয়নের আল—বয়ান স্কুলের পূর্ব পাশের মাঠে নামাজ শুরু হয়। এতে ইমামতি করেন রাজধানী কাকরাইল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনাস।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে দূর—দূরান্ত থেকে টুপি, পাঞ্জাবী ও জায়নামাজ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ইজতেমা মাঠে ছুটে আসেন। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী ভিড় করেন ইজতেমা মাঠে। জুমার নামাজ আদায়ের জন্য সুবিশাল প্যান্ডেলের গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। দুপুর গড়াতেই জনসমুদ্রে রূপ নেয় ইজতেমার মাঠ। মুসল্লীদের জন্য সুপেয় পানি, নামাজ ও অজুর বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।


ইজতেমায় আসা শহরের টেকপাড়ার ঠিকাদার আবদুল্লাহ আল মামুন রিয়াদ বলেন, ‘বিশাল জামাতের মাধ্যমে জুমার নামাজ আদায় ভাগ্যের ব্যাপার। তাই দুপুরের আগে ইজতেমার মাঠে বন্ধু—বান্ধব নিয়ে চলে আসা।’




আরেক মুসল্লি মাজেদ বলেন, ‘তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াতের কাজ প্রসারিত হচ্ছে। দলে দলে মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে সমবেত হচ্ছে। তাই তিনি সবাইকে ইজতেমায় আসার আহ্বান জানান।’

ইজতেমা সফল করতে দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতার হাত বাড়ান। ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, ‘গত এক মাস ধরে ইজতেমা সফল করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা শেষ হবে।’


কক্সবাজার—৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘ইজতেমা সফলে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে ইজতেমার জন্য একটি স্থায়ী মাঠ করা হবে। যাতে মুসল্লিদের সুবিধা হয়।’


কক্সবাজারের ৯ উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইজতেমায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়। এছাড়া আমেরিকা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশ থেকেও এখানে জামাত এসেছে।


গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। শনিবার সকাল ১১টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ বছরের জেলা ইজতেমা শেষ হবে।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024