|
Date: 2023-12-19 14:34:11 |
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে সামুদ্রিক মাছের সমাহার। সেখানে পর্যটকরা বাছাই করে পছন্দের মাছগুলো কিনে খাচ্ছেন। তৃপ্তি নিয়ে মাছগুলো কেউ খাচ্ছেন বারবিকিউ করে আবার কেউ খাচ্ছেন ফ্রাই করে। কিন্তু সেখানে হঠাৎ করেই বাঁধে বিপত্তি। দলবল নিয়ে আসেন পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ রানার ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা এসে পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখেন স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাছ ফ্রাই করা হচ্ছে কিনা। পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে খাবার। এছাড়া পঁচা-বাসি মাছ খাওয়ানো হচ্ছে পর্যটকদের। তেল পরীক্ষা করে দেখে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। তেল সবচেয়ে বেশি পঁচা। কয়েক সপ্তাহ আগের তেলেও ভাজা হচ্ছে মাছ। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দেন। এছাড়া ৪ টি ভ্রাম্যমাণ ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানকে করা হয় ২৩ হাজার টাকা জরিমানা। যে দোকানগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে সেগুলোকে সিলগালা করে দেওয়া হয়। কক্সবাজারের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন,”সবগুলো ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছগুলো তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে পঁচা তেলে ভাজা হচ্ছে মাছগুলো। এখন দাঁড়ানোর অবস্থাও নেই। খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তিনি বলেন, এ খাবারগুলো খাওয়ার ফলে মানবদেহে গ্যাস্টিক সহ সবচেয়ে মরণঘাতী রোগ ক্যান্সার হতে পারে। পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের দায়ে ৪ টি ভ্রাম্যমাণ দোকানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দোকান ৪ টিকে সিলগালা করা হয়েছে। একইসাথে সবগুলো ফিশ ফ্রাই দোকান আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা যখন মান ঠিক করে আমাদের প্রমাণ করতে পারবেন তখন দোকানগুলো আবার চালু করা যাবে।
© Deshchitro 2024