|
Date: 2023-12-19 09:22:16 |
মাদক পাচারের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠছে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চালু হওয়া ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। সড়কপথের পরিবর্তে এবার এই ট্রেনকে ব্যবহার করে ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে মাদকের চালান। চেকপোষ্ট কিংবা তল্লাশির ব্যবস্থা না হলে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে এই রুটটি।
রোহিঙ্গা অবস্থানের পাশাপাশি মিয়ানমারের অরক্ষিত সীমান্ত শহর কক্সবাজার যেন এক মাদক সাম্রাজ্য । এখান থেকে আসা ইয়াবা এবং ভয়ংকর মাদক আইস চট্টগ্রামকে ট্রানজিট রুট করে ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। এখন ঢাকার সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ থাকায় তাতে মাদক ব্যবসায় যেন যুক্ত হয়েছে নতুন পালক।
কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম রুটে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কপথে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অন্তত ৮টি চেকপোষ্ট রয়েছে। কিন্তু রেলপথে কোনও চেকপোষ্ট না থাকায় সড়কপথের পরিবর্তে রেলে মাদক পাচারের চেষ্টা চলছে বলে দাবি করছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে বিমান বন্দরের আদলেই স্ক্যানিং মেশিন বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য যাত্রীদের জন্য আর্চওয়ে থাকবে, তেমনি যাত্রীরা যাতে মালামালের লাগেজে করে ইয়াবার মতো মাদক পাচার করতে না পারে, সেজন্য থাকবে স্ক্যানিং মেশিন।
এদিকে, মাদক পাচার বন্ধ এবং যাত্রীদের নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ২২৭ জন বাড়তি জনবল চেয়ে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দিয়েছে জিআরপি। এছাড়া দোহাজারী এবং কক্সবাজারে পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের পাশাপাশি পটিয়া-সাতকানিয়া-লোহাগাড়া-চকরিয়া-ঢুলাহাজারা-রামু স্টেশনে ফাঁড়ি স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পহেলা ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চালু হয়েছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামে এক জোড়া ট্রেন। আর পহেলা জানুয়ারি থেকে একই রুটে ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’ নামে আরও একজোড়া ট্রেন চালু হবে।
© Deshchitro 2024