মহান বিজয় দিবসের ছুটিতে লাখো পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বিজয় দিবসের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন কয়েক লাখ পর্যটক।


শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সৈকতের বালিয়াড়িতে যতদূর চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। দীর্ঘ বালিয়াড়িজুড়ে মানুষের স্রোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।


সৈকত ছাড়াও জেলার প্রায় সবগুলো পর্যটন স্পটে হাজারো পর্যটকের উপস্থিতিতে এখন প্রাণচঞ্চল। সেন্টমার্টিন দ্বীপ, মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, সোনাদিয়া, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় বিপুল পর্যটকের সমাগম রয়েছে। এছাড়াও কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট, রাখাইন পল্লী, বৌদ্ধ মন্দির ও রামুর বৌদ্ধ মন্দিরেও পর্যটকদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।


ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে আসা পর্যটক ইয়াকুব আলী বলেন, পরিবার নিয়ে আজ সকালে কক্সবাজারে এসেছি। অনলাইনে রুম বুকিং দিয়েছিলাম। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। তবে খাবারের দাম ও যানবাহনে অতিরিক্ত দাম আদায় করছে বলে অভিযোগ তুলেন।


রাজশাহী থেকে আগত আফজাল হোসেন বলেন, সপরিবারে এসেছি। সুগন্ধা মোড়ের একটি হোটেলে উঠেছি। তবে এই পরিমাণ মানুষ হবে কল্পনাও করিনি। সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য জাহাজের টিকিটের জন্য গিয়েছিলাম কিন্তু পাইনি।


আরেক পর্যটক লুনা বলেন, সৈকতের পাড়ে এসে ভালো লাগছে। কাল সেন্টমার্টিনও যাব। তবে এখানকার খাবার রেস্তোরাঁগুলোতে খাবারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।


এ বিষয়ে হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, হরতাল অবরোধের কারণে এতদিন লোকসানে জর্জরিত ছিল কক্সবাজার পর্যটক শিল্প। বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারে কয়েক লাখ পর্যটক এসেছে। শতভাগ রুম বুকিং। বিজয় দিবসে কয়েকশ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।


টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারে কয়েক লাখ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সব সময়ই সজাগ আছি।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024