জীবনের প্রথমার্ধে বেশিরভাগ মানুষই সৌন্দর্যের পিছনে ছুটে। সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে, সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দেয়। আর তারপর যখন বুঝতে পারে, মানুষের সৌন্দর্য কেবলই মোহ মাত্র তখনই সে ছুটে ব্যক্তিত্বের পিছনে।


প্রত্যেকটা মানুষই দিনশেষে বাহ্যিক সৌন্দর্যের চাইতে একটি সুন্দর মনের অভাববোধ করে। অনেক দেরিতে হলেও সে বুঝতে পারে, মন যদি পরিষ্কার হয় তবেই কেবল একটা মানুষকে সুন্দর মানুষ বলা যায়।


একটা মানুষ দেখতে সুন্দর হলেই যে তার মনও সুন্দর হবে, তা কিন্তু নয়। আবার একটা মানুষ দেখতে সুন্দর না হলেই যে তার মন সুন্দর হবে না, তাও কিন্তু নয়। খুব সাধারণের মাঝে অসাধারণ কিছু খুঁজে নিতে সবাই পারে না। এজন্য সুন্দর মনেরও দেখা পায় না। খুব কম মানুষই আছে, যারা কারো বাইরের রূপকে নয় বরং ভেতরের মানুষটাকে ভালোবাসতে পারে-গ্রহণ করতে পারে।


জীবনের কোনো এক পর্যায়ে যখন মানুষ বুঝতে পারে, সৌন্দর্য কেবল মানুষকে বিমোহিত করতে পারে তবে পরিপূর্ণ সুখ এবং আত্মতৃপ্তি দিতে পারে না, ঠিক তখনই সে কারো না কারো ব্যক্তিত্ব এবং মনের প্রেমে পড়তে চায়। পৃথিবীতে খুব কম মানুষই আছে, যারা মনের দিক থেকে ব্যক্তিত্ববান। ব্যক্তিত্ববান মানুষ কখনোই নিজেকে অসাধারণ ভাবে না। আধুনিক সমাজে তারা নিজেদের সবসময় ক্ষুদ্র এবং নগন্য মনে করে। তাদের কোনো অহংকার থাকে না, থাকে না কোনো হিংসা।


কারো এই সাধারণের মাঝে অসাধারণ কিছু যে খুঁজে নিতে পারে, সেই প্রকৃত অর্থে জয় লাভ করে। কেননা তারা এমন কাউকে খুঁজে পায়, যার দিকে কেউ কোনোদিন ফিরেও তাকায়নি। আর যারা সৌন্দর্যের মোহে পড়ে সময় অতিবাহিত করে, তারা শুধু দিনের পর দিন আফসোস এবং দুশ্চিন্তায় দিন কা*টায়!

লেখক : প্রণব মন্ডল 

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024